কাতারকে দুষলেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী, আমিরাতের প্রশংসা
বাংলাট্রিবিউন : ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসকে সমর্থনের দায়ে কাতারকে অভিযুক্ত করলেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। দোহার সঙ্গে আলোচনার আহ্বানও প্রত্যাখ্যান করেছেন তিনি। তবে কাতার ছাড়া উপসাগরীয় অঞ্চলের অন্য দেশগুলোর সঙ্গে সংলাপের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন তিনি। সংযুক্ত আরব আমিরাতকে তিনি এ অঞ্চলের গঠনমূলক শক্তি হিসেবে উল্লেখ করেন। বুধবার যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ইহুদি সংগঠনগুলোর নেতাদের সঙ্গে এক বৈঠকে নিজ দেশের এমন অবস্থানের কথা জানান ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে মিডল ইস্ট মনিটর।
ওই বৈঠকে মূলত উপসাগরীয় দেশগুলোর সঙ্গে ইসরায়েলের সম্পর্কের প্রকৃতি নিয়ে আলোচনা করেন নেতানিয়াহু। তিনি বলেন, ‘উপসাগরীয় অঞ্চলের গঠনমূলক শক্তিগুলোর সঙ্গে আলোচনার প্রয়োজন রয়েছে। তবে আমি অবশ্যই কাতারের কথা বলছি না।’
তিনি বলেন, যেসব উপসাগরীয় দেশ নিজ দেশের জনগণের অপেক্ষাকৃত ভালো ভবিষ্যৎ চায় এবং হামাসের মতো সন্ত্রাসী দলগুলোর পৃষ্ঠপোষকতা করে না তাদের সঙ্গে আলোচনা হতে পারে। এ অঞ্চলে সংযুক্ত আরব আমিরাত একটি গঠনমূলক শক্তি। কিন্তু কাতারের ক্ষেত্রে এটা প্রযোজ্য নয়।
উল্লেখ্য, ইতোপূর্বে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে ইসরায়েলের প্রতি সৌদি আরব ও আমিরাতের দুর্বলতার বিষয়টি উঠে এসেছে। সৌদি আরবের সর্বোচ্চ ক্ষমতাধর ব্যক্তি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে ট্রাম্পের জামাতা ইহুদি ধর্মাবলম্বী জ্যারেড কুশনারের সুসম্পর্ক রয়েছে। আর মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতিতে সৌদি আরব ও আমিরাত একই অক্ষভুক্ত।
গত নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ডিফেন্স অ্যান্ড অ্যারোস্পেস রিপোর্ট’কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সংযুক্ত আরব আমিরাতের একজন ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তা বলেন, ‘সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ইসরায়েল ভাইয়ের মতো। আর যুক্তরাষ্ট্র হচ্ছে ‘বড় ভাই’-এর মতো; যারা আমাদের দুই দেশের মধ্যে যে কোনও মতপার্থক্যের বিষয়টি দেখতে পারে।’
পাইলট আবদুল্লাহ আল হাশমি নামের ওই কর্মকর্তা আমিরাতি সামরিক বাহিনীর একজন স্টাফ মেজর জেনারেল।
আবদুল্লাহ আল হাশমি বলেন, সংযুক্ত আরব আমিরাতকে অস্ত্র সরবরাহে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগের কিছু নেই। কারণ আমিরাত শুধু তাদের মিত্রই হতে চায় না; বরং কৌশলগত মিত্র হতে চায়। দুই দেশের সম্পর্ক উভয় পক্ষের জন্যই খুবই ইতিবাচক পর্যায়ে রয়েছে। কেননা আমিরাতের সক্ষমতা বাড়ানোর মানে হচ্ছে আদতে যুক্তরাষ্ট্রেরই সক্ষমতা বাড়ানো। আমিরাতের সামরিক সক্ষমতা কোনওভাবেই ইসরায়েলের জন্য হুমকি নয়।
তিনি বলেন, ইসরায়েলের সঙ্গে আরব বা প্যালেস্টাইনের যে দ্বন্দ্ব তা নিয়ে কোনও সমাধান থাকলে সেটা আলোচনার টেবিলে আসতে পারে। আমি মনে করি না যে, আমরা ইসরায়েলের জন্য হুমকি কিংবা ইসরায়েল আমাদের জন্য হুমকি। কেননা, আমরা এটা উপলব্ধি করি যে, আমরা যেমন যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র; এটা ইসরায়েলের জন্যও প্রযোজ্য। এক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র আমাদের বড় ভাইয়ের মতো। সম্পাদনা : ইমরুল শাহেদ