কোটার জন্য ছাত্রছাত্রীরা যোগ্য বিবেচিত হয় না
রাজেকুজ্জামান রতন
কোটা প্রথাটি শুরু হয়েছিল বিশেষ বিশেষ দায়িত্ব পালনের স্বীকৃতির জন্য, রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালনের জন্য প্রথাটি চালু হয়েছিল। এ প্রথাটি যখন সুবিধায় পর্যবর্ষিত হয়ে যায়, তখন সে কোটার গুরুত্বটা কমে যায়। আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে যারা যুদ্ধ করেছিলেন তারা কোটার জন্য যুদ্ধ করেননি। যারা যুদ্ধ করেছিলেন তাদের কোটা দেওয়ার কথা ছিল না, তাদের একটা সম্মানের স্থান দেওয়ার কথা ছিল। যে সমস্ত কোটা আছে সেখানে দুর্নীতি যেন না হয়। একোটার জন্য ছাত্র ছাত্রীদের মধ্যে অযোগ্য ছাত্র ছাত্রীরা স্বীকৃতি পাচ্ছে। কোটা প্রথা সংস্কার করার যে আন্দোলন করছে এটির একটি যৌক্তিকতা আছে। সে যৌক্তিকটা আমারেদর সরকারের বিবেচনা করা উচিত।
এ কোটা সুবিধার জন্য ব্যবহার না করে কোটাটাকে সম্মানের জায়গায় স্থান দেওয়া উচিত। কোটার নামে কোন দুর্নীতি প্রশ্রয় যেন না পায়। যখন কোন ছাত্র ছাত্রীরা সরকারি পরিক্ষা দেয় সেখানে কোটার জন্য তাদের যোগ্য প্রার্থী হিসাবে বিবেচনা করা হয় না। সেই ভাল ছাত্র ছাত্রীদের অধিকার আদায় করতে পারে না। যাদের কোন যোগ্যতা নেই তাদের কোটার বিনিময়ে তাদেরকে চাকুরি দেওয়া হয়। যে সব ছাত্র ছাত্রী সরকারি চাকুরির জন্য পরিক্ষা দেন তাদের কোটার বিনিময়ে চাকরি না দিয়ে যোগ্য ছাত্র ছাত্রীদের চাকরি দেওয়া হোক। এ সব ছাত্র ছাত্রীরা যেন রাষ্ট্রের সঠিক অধিকার আদায় করতে পারে। আমাদের দেশে মোট ৫৬% কোটা আছে, সেখান থেকে আঞ্চলিক কোটা আছে সেটি উঠিয়ে দেওয়া উচিত। কারণ, আমাদের দেশ একটি ছোট দেশ সেখান থেকে বিভিন্ন অঞ্চল গুলো ভাগ করে না দেওয়াটা উচিত। উপজাতি কোটা আছে এবং নারী কোটা আছে সেগুলো নিয়ম মাফিক আছে বলে মনে করি। সুতরাং এ কোটার অবসান হওয়া উচিত।
পরিচিতি : কেন্দ্রিয় কমিটির সদস্য, বাসদ/ মতামত গ্রহণ : রাশিদুল ইসলাম/ সম্পাদনা : মোহাম্মদ আবদুল অদুদ