আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সিরিয়ার বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো নুসরা ফ্রন্টকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। কিছু দিন আগে জঙ্গিগোষ্ঠী আল কায়দার সঙ্গে স¤পর্কে ইতি টানার ঘোষণা দেয় নুসরা ফ্রন্ট। বর্তমানে নিজেদের নামও পাল্টেছে এ সংগঠনটি। ২৮ জুলাই জাবাত ফাতেহ আল-শাম (জেএফএস) নামধারণ করে সাবেক নুসরা ফ্রন্ট। জঙ্গি সংগঠনটির নেতৃত্বস্থানীয় এক নেতা প্রথমবারের মতো একটি বৃটিশ টেলিভিশনকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। ঐক্যপ্রচেষ্টার ব্যাপারে তিনি ব্রিটিশ টিভি চ্যানেল স্কাই নিউজকে বলেন, ‘আলাদা থাকার চেয়ে ঐক্যবদ্ধ থাকার মধ্যেই আমরা বেশি শক্তিশালী।’
স্কাই নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আল কায়দার সঙ্গে স¤পর্ক ছিন্ন করার মাধ্যমে জেএফএস অন্যান্য বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোকে আকৃষ্ট করতে সক্ষম হয়। ফলে জঙ্গিগোষ্ঠী আইএস ছাড়া সরকারবিরোধী অন্যান্য ডজন ডজন বিদ্রোহী গ্রুপ একসঙ্গে কাজ করবে। খবরে বলা হয়েছে, যুদ্ধক্ষেত্রে এ উদ্যোগের দ্রুত ও চমকপ্রদ প্রভাব দেখা গেছে। ঐক্যের দরুন সম্মিলিতভাবে আলেপ্পোর অবরোধ ভাঙ্গা সম্ভব হয়েছে। শেখ মোস্তাফা মাহামেদ নামে ওই জেএফএস নেতা আলেপ্পো থেকেই সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। খবরে বলা হয়, তিনি ইংরেজিভাষী, বয়স ৩৫ বছরের মতো এবং উচ্চ শিক্ষিত। পড়ালেখা করেছেন অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে। ফলে পশ্চিমারা কীভাবে চিন্তা, বিবেচনা ও প্রতিক্রিয়া দেখায়, সে ব্যাপারে প্রখর জ্ঞান রয়েছে তার। জেএফএস থেকে তাকে বিদেশী গণমাধ্যমের সঙ্গে যোগাযোগের কাজ দেয়া হয়েছে। দলে তার ডিরেক্টরের পদমর্যাদা রয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, তাকে এ কাজ দেয়া ও বৈশ্বিক সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে কথা বলা শুরুর মাধ্যমে জেএফএস দৃশ্যত স্বীকার করে নিয়েছে যে, এ যুদ্ধে পশ্চিমা গণমাধ্যমও প্রয়োজনীয় হতে পারে। এদিকে আল কায়দার সঙ্গে স¤পর্ক ছিন্ন করলেও, জেএফএস’র সঙ্গে কাজ করতে বিশেষ করে মার্কিন সরকার অস্বস্তি বোধ করছে। সম্পাদনা : ইমরুল শাহেদ