আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইয়েমেনের যুদ্ধ পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে পেন্টাগন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অ্যাডাম স্টাম্প এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘লড়াইয়ের মাত্রা যখন বেড়ে গিয়েছিল তখন সৌদি আরবের প্রতি আমাদের সহযোগিতার মাত্রাও বাড়ানো হয়েছিল, এখন সহযোগিতার মাত্রা আবার হ্রাস করা হয়েছে এবং এ বিষয়ে কোনো ব্ল্যাংক চেক দেওয়া হয়নি।’ রয়টার্স
এই গৃহযুদ্ধ ইয়েমেনকে প্রায় দুর্ভিক্ষের মুখে ঠেলে দিয়েছে এবং দেশটির অবকাঠামো ও অর্থনৈতিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এক হাজার চারশ’ কোটি ডলার অতিক্রম করেছে।
স্টাম্প বলেন, ‘সৌদিদের আঞ্চলিক অখ-তা ধরে রাখার বিষয়টিতে সহযোগিতা দিচ্ছি আমরা ঠিকই, তবে এর মানে এই নয় যে, ইয়েমেনের লড়াই ও এর মাশুল নিয়ে আমরা উদ্বেগ প্রকাশ করতে পারবো না।
ইয়েমেনে সৌদি-নেতৃত্বাধীন বিমান হামলা পরিকল্পনা সমন্বয়ের কাজে নিয়োজিত সদস্যদের প্রত্যাহার করে এ পরিকল্পনায় সহযোগিতাকারী কর্মীদের সংখ্যা হঠাৎ হ্রাস করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী।
বাহরাইন থেকে যুক্তরাষ্ট্র নৌবাহিনীর মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট আয়ান ম্যাককোনাগহি বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, এখন ‘যৌথ সম্মিলিত পরিকল্পনা সেল (জেসিপিসি)’-এ ২৪ ঘণ্টার জন্য নিয়োজিত যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক কর্মীর সংখ্যা পাঁচেরও কম। ইয়েমেনে বিমান হামলারত আরব জোট বাহিনীর জঙ্গিবিমানগুলোকে মধ্যাকাশে জ্বালানি সরবরাহ এবং গোয়েন্দা তথ্য-বিনিময় সীমিত করার মতো বিষয়গুলো সমন্বয় করার লক্ষ্যে গেল বছর এই ‘যৌথ সম্মিলিত পরিকল্পনা সেল’ গঠন করা হয়েছিল। এই সেলের অংশ হিসেবে রিয়াদ ও অন্যান্য এলাকায় যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ প্রায় ৪৫ জন কর্মী একসময় ২৪ ঘণ্টার জন্য নিয়োজিত থাকলেও এখন তাদের সংখ্যা কমানো হয়েছে বলে ম্যাককোনাগহি জানিয়েছেন। চলতি বছরের প্রথম দিকে ইয়েমেনে আরব জোট বাহিনীর বিমান হামলার মাত্রা কমে আসার পর জুনে কিছু কর্মী প্রত্যাহার করেছিল যুক্তরাষ্ট্র।
আরব জোট বাহিনীর বিমান হামলায় বেসামরিক হতাহতের সংখ্যা ব্যাপক হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে নজরদারি বৃদ্ধি পাওয়ায় জেসিপিসিতে নিজেদের সার্বক্ষণিক সম্পৃক্ততা কমাতে শুরু করে ওয়াশিংটন। সম্পাদনা : ইমরুল শাহেদ