বিএনপি নির্বাচনে এলে ১৪ দল মহাজোটে রূপ নেবে
উম্মুল ওয়ারা সুইটি : আগামী সংসদ নির্বাচনে বিএনপির অংশ নেয়ার বিষয়টি বিবেচনায় রেখে জোটের পরিধি বাড়াতে যাচ্ছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। জুলাই-আগস্টে এই জোটের ঘোষণা আসতে পারে। বর্তমানের ১৪ দলের সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সমমনা অন্য দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা চলছে। বিএনপির নির্বাচনে যাওয়া না যাওয়ার উপর নির্ভর করছে এই জোটের ঘোষণা। বিএনপি নির্বাচনে এলে ১৪ দলীয় জোট মহাজোটে রূপ নিতে পারে বলে সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।
আওয়ামী লীগ সুত্রে জানা গেছে, বিএনপি নির্বাচনে না এলে ভিন্ন কৌশল নেবে আওয়ামী লীগ। সেক্ষেত্রে এরশাদের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টি আলাদা একটি জোট করবে। আর ১৪ দলের সঙ্গে আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর জেপি, হাসানুল হক ইনুর জাসদ, রাশেদ খান মেননের ওয়ার্কার্স পার্টিসহ ছোট দলগুলো থাকবে। আর বিএনপি নির্বাচনে এলে নতুন করে যুক্ত হবে মুজাহিদুল ইসলাম সেলিমের সিপিবি, ‘৯৬-‘০১ শেখ হাসিনার ঐকমত্যের সরকারের নৌপরিবহন মন্ত্রী জাসদ সভাপতি আসম আব্দুর রবের জাসদ, বঙ্গবীর আব্দুল কাদের সিদ্দিকীর কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সঙ্গেও একটি নির্বাচনী আঁতাত করার চিন্তা ভাবনার কথা জানা গেছে।
প্রধানমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে দেশের ৩০০টি আসনেই বর্তমান এমপিদের উপর একাধিক জরিপ চালানো হয়েছে। যা এখনও পর্যন্ত আওয়ামী লীগের সংসদীয় বোর্ডের সভায় উত্থাপিত হয়নি। আসন্ন সংসদীয় বোর্ডের সভায় প্রধানমন্ত্রী বিষয়টি উত্থাপন করবেন।
আওয়ামী লীগের একজন প্রেসিডিয়াম সদস্য বলেন, অস্তিত্ব রক্ষার জন্য হলেও বিএনপি এবার নির্বাচনে অংশ নেবে। আওয়ামী লীগ নির্বাচনে এবার প্রার্থীর জনপ্রিয়তাকে বেশি প্রাধাণ্য দেবে। তৃণমূল থেকে জরিপ চালানো হয়েছে। বিএনপি অংশ নিলে সমমনা দলগুলোকে নিয়ে মহাজোট করার পরিকল্পনা রয়েছে। তিনি বলেন, গত এক বছর ধরেই আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা এমপিদের হুঁশিয়ারি করছেন, জনগণ না চাইলে মনোনয়ন দেবেন না। গত ৫ জানুয়ারির মতো সুযোগ কেউ পাবেন না।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফরউল্যাহ বলেছেন, এমপিদের কর্মকান্ডের ফিরিস্তি নেত্রীর টেবিলে আছে। শেখ হাসিনা বলেছেন, তৃণমূলের ম্যান্ডেট নিয়ে কেন্দ্রে আসতে হবে। জোটের পরিধি বাড়ানোর বিষয়ে তিনি বলেন, অনেকেই আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের জোটের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার ইচ্ছা পোষণ করেছে। শরীকদের সঙ্গে আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। জানা গেছে, আওয়ামী লীগ বিএনপির নির্বাচনমুখী পরোক্ষ তৎপরতা সম্পর্কেও সজাগ রাখছে।
১৪ দলের অন্যতম শরীক জাসদের সভাপতি ও তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, আসন নিয়ে ১৪ দলের সঙ্গে আলোচনা চলছে। ১৪ দলের নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রয়োজনে সমমনা দলগুলোকে নিয়ে জোটের পরিধি বাড়াতে পারেন। কারণ মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিগুলো এক হলে জঙ্গি ও সন্ত্রাসী দলগুলো ক্ষমতায় যেতে পারবেনা।