কাঁচামালের দাম বাড়ায় ক্ষতির আশঙ্কায় আবাসন খাত
ফাহিম ফয়সাল : নির্মাণসামগ্রী রড ও সিমেন্টের দাম বাড়ায় দেশের আবাসন খাত আবারও বড় ধরণের ক্ষতির মুখে পড়বে বলে আশঙ্কা করছে রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (রিহ্যাব)। গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (রিহ্যাব) আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের নেতারা এ আশঙ্কার কথা বলেন।
রিহ্যাব নেতারা বলেন, ফ্ল্যাটের দাম ২০ থেকে ২৫ শতাংশ বাড়তে পারে। হাউজ লোনে ব্যাংক সুদের হার দুই অংকের ঘরে ওঠায় ফের হুমকির মুখে পড়তে পারে আবাসন খাত। তাদের দাবি, খাতটিকে বাঁচাতে দ্রুত নির্মাণ সামগ্রীর দাম কমানোসহ ব্যাংক সুদের হার কমানোর ব্যাপারে উদ্যোগ নিতে হবে। লিখিত বক্তব্য রিহ্যাব সভাপতি আলমগীর শামসুল আলামিন বলেন, দীর্ঘদিনের মন্দা কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই আবারও অস্থিরতার মধ্যে পড়তে যাচ্ছে নির্মাণ শিল্প। এ খাতের প্রধান উপকরণ রডের বাজার মূল্য এক বছরে প্রতি টনে বেড়েছে ২৩ শতাংশ। বিভিন্ন কোম্পানির সিমেন্টের দাম বেড়েছে বস্তাপ্রতি ৫০ থেকে ৬০ টাকা এবং ইটের দাম বেড়েছে হাজারে এক হাজার টাকা। একই সময়ে পাথর আমদানিতেও খরচ বেড়েছে।
তিনি বলেন, অপ্রত্যাশিতভাবে বর্তমানে গৃহায়ন খাতে ঋণের সুদের হার বেড়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকসহ বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আলোচনা করে এই খাতের সুদ এক অংকের ঘরে কমিয়ে আনা হয়েছিল। কিন্তু কয়েকটি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে আমরা অনুসন্ধান করে দেখেছি অধিকাংশ ব্যাংকে হোম লোন দুই অংকের ঘরে নিয়ে গেছে। দুই একটি প্রতিষ্ঠানে এই হোম লোনের সুদের হার ১৩ থেকে ১৪ শতাংশ। ফলে আবাসন খাতে আবারও নেতিবাচক প্রভাব দেখা দিবে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে রিহ্যাবের জৈষ্ঠ্যসহ সভাপতি নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন বলেন, বর্তমানে অবিক্রিত ফ্ল্যাটের সংখ্যা ১১ হাজারের উপরে। নির্মাণ সামগ্রীর দাম বাড়ায় ফ্ল্যাটের দাম ২০ থেকে ২৫ শতাংশ বাড়তে পারে। এতে সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ড ব্যাহত হবে। প্রকারভেদে রড়ের দাম টনে অন্তত ১৪ হাজার টাকা কমানো উচিত। তবে সংশ্লিষ্ট সবার সাথে বসে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হওয়া উচিৎ।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন রিহ্যাব সহ সভাপতি (প্রথম) লিয়াকত আলী ভূইয়া ও পরিচালক কামাল মাহমুদ। সম্পাদনা: তরিকুল ইসলাম সুমন