ডিবি পুলিশ পরিচয়ে তুলে নিয়ে অর্থ আদায়
ইসমাঈল হুসাইন ইমু : ডিবি পুলিশ পরিচয়ে তুলে নিয়ে অর্থ আদায় শেষে মামলা ও রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতনের ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছেন ভুক্তভোগী নসির উদ্দিন নামের এক ব্যক্তি। গতকাল সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) এক সংবাদ সম্মেলনে এ প্রতিবাদ জানান তিনি।
লিখিত বক্তব্যে তিনি জানান, গতবছর ২৮ ডিসেম্বর তিনি ব্যক্তিগত কাজে ব্যাংকক যান। পরে ৫ জানুয়ারি দেশে ফিরলে শাহজালাল বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশনের কাজ সেরে বাইরে বের হলে ডিবি পরিচয়ে চোখ বেঁধে গাড়িতে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে রাত ১টার দিকে তার চোখ খুলে দিলে তিনি দেখেন নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানায় তাকে আটকে রাখা হয়েছে। তার অপরাধ জানতে চাইলে পুলিশ তাকে বেধড়ক মারপিট করতে থাকে। পরে টানা দুইদিন থানায় আটক রাখার পর ৭ জানুয়ারি নারায়ণগঞ্জের জালাল আহমেদ স্পিনিং মিলস লিমিটেডের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে আদালতে পাঠায়। তিন দিনের রিমান্ডে এনে ব্যাপক নির্যাতন করে পুলিশ।
ওই মামলাটি মিথ্যা দাবি করে নাসির বলেন, তিনি ওই কোম্পানিতে চাকরি করতেন। সকল নিয়ম মেনেই তিনি চাকরি থেকে ইস্তফা দেন। তিনি জানান, তাকে নির্যাতন করেই ক্ষ্যান্ত হয়নি পুলিশ। ডিবি পুলিশের পরিদর্শক মাজহার তার মোবাইল চেক বই ও অন্যান্য কাগজপত্রসহ ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। তার ভাগিনা ডিবি কার্যালয়ে খোঁজ নিতে গেলে তাকে আটকে রেখে ফার্স্ট সিকিউরিটি ব্যাংক থেকে নগদ ৬ লাখ টাকা তুলে নেয় ডিবি কর্মকর্তা মাজহার। এতেও মন না ভরলে গত ২৪ জানুয়ারি ডিবির লক-আপ থেকে বের করে শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক নারায়ণগঞ্জ শাখা থেকে আরও ১০ লাখ টাকা তুলে নেয় ডিবির ওই কর্মকর্তা। এক পর্যায়ে ডিবি অফিসে দফায় দফায় তাকে ১২ দিনের রিমান্ডে এনে অমানুষিক নির্যাতন করে পুলিশ।
নাসির জানান, ডিবি অফিসার মাজহার, মাহবুব ও মফিজ পর্যায়ক্রমে তার কাছ থেকে বিভিন্ন একাউন্ট থেকে নগদ ৫০ লাখ টাকা তুলে নেয় তারা। এছাড়া একটি হলফনামায় স্বাক্ষর রাখা হয় যাতে উল্লেখ রয়েছে ২ দিনের মধ্যে ২০ লাখ, ১৫ দিনের মধ্যে ২৫ লাখ ও পরবর্তী ১৫ দিনের মধ্যে ৫০ লাখ টাকা দিতে বাধ্য থাকবে। এ অবস্থায় সংশ্লিষ্ট ডিবি কর্মকর্তাদের এহেন কর্মকা- খতিয়ে দেখে তাদের শাস্তির দাবি জানান নাসির।