সন্ন্যাসীদের গেরুয়া রং ধারণের কারণ
ডেস্ক রিপোট : পৃথিবীতে এতো রং থাকা সত্ত্বেও সাধুরা কেন এই গেরুয়া রংকেই পছন্দ করেন?
গেরুয়া অনেকটাই কমলা রংয়ের কাছাকাছি। তাই একে অনেকেই কমলা রংয়ের সঙ্গে গুলিয়ে ফেলেন। কমলা বা গেরুয়া রংয়ের সঙ্গে নাকি যোগ রয়েছে পুরাণের।
এই রংয়ের অর্থ এক দিকে যেমন ক্ষমতা বা শক্তি, অন্যদিকে তা ত্যাগেরও রং। রয়েছে আধ্যাত্মিক যোগও। সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের সময়ে গেরুয়া বা কমলা রঙের আধিক্য দেখা যায় এবং অগ্নিদেবের রংও গৈরিক।
এতো গেল সম্পূর্ণ ধর্মীয় ও আধ্যাত্মিক ব্যাপার। কিন্তু, এই গেরুয়া রংয়ের মাহাত্ম্যের বিজ্ঞানসম্মত ব্যাখ্যাও রয়েছে। সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এমনটাই জানিয়েছেন সাইকো নিউরোবিকস বিশেষজ্ঞ বি কে চন্দ্রশেখর।
পরিচিত সাতটি রঙের (লাল, কমলা, হলুদ, সবুজ, নীল, আকাশি ও বেগুনি) সঙ্গে যোগ রয়েছে মনুষ্য শরীরে অবস্থানরত সাতটি চক্রের। প্রতিটি রংয়ের আলাদা আলাদা তরঙ্গ রয়েছে, মানুষের শরীরে ও মনে যাদের প্রভাবও আলাদা আলাদা ভাবে পড়ে।
শরীরের প্রথম চক্র, মূলাধার, লাল রংয়ের সঙ্গে যুক্ত। দ্বিতীয় চক্র হলো স্বাধিষ্ঠান, যার সঙ্গে যোগ রয়েছে কমলা রংয়ের। বি কে চন্দ্রশেখরের কথানুসারে, কমলা বা গেরুয়া রংয়ের সঙ্গে শরীরের বেশ কয়েকটি অঙ্গের যোগ রয়েছে। যেমন- কিডনি, মলাশয়, মূত্রথলি ও প্রজননতন্ত্র। গেরুয়া বা স্যাফ্রন চক্রের প্রভাব রয়েছ শারীরিক সুস্থ-অসুস্থতার উপরে। শুধু শারীরিক নয়, মানসিক ভারসাম্যও ঠিক থাকে এই রঙের প্রভাবে।
প্রসঙ্গত, কেবলমাত্র হিন্দু ধর্মে নয়, বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরাও গেরুয়া রঙে প্রভাবিত। তারা মনে করেন, গেরুয়া রং আদতে সুখের। কারণ, লাল ও হলুদের মিশেলে এই রং পাওয়া যায় এবং শরীরে স্যাফ্রন চক্রের অবস্থানও লাল ও হলুদ চক্রের ঠিক মাঝখানেই।