ঢাকা কেন্দ্রীয় ও কাশিমপুর কারাগারে ‘বডি স্ক্যানার’ স্থাপন
সুজন কৈরী : দেশে প্রথমবারের মতো কারাগারের নিরাপত্তায় কারাভ্যন্তরে ‘বডি স্ক্যানার’ স্থাপন করেছে কারা অধিদপ্তর। ইতিমধ্যে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার কেরাণীগঞ্জ ও কাশিশপুর হাই সিকিউরিটি কারাগারে দুটি বডি স্ক্যানার স্থাপন করা হয়েছে। পরবর্তীতে গুরুত্বপূর্ণ কারাগারগুলোতে এসব বডি স্ক্যানার স্থাপন করা হবে বলে কারা অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে।
সূত্র জানায়, কারাগারের ভেতরে অস্ত্র, মোবাইল ফোন, ইয়াবাসহ যেকোনো ধরনের মাদক ও সব ধরনের অবৈধ ও নিষিদ্ধ পণ্যের প্রবেশ ঠেকাতে এই বডি স্ক্যানার স্থাপন করা হয়েছে। এর ফলে কারা নিরাপত্তায় এক নতুন মাত্রা যোগ হলো। তবে বডি স্ক্যানার দিয়ে কারা কর্তৃপক্ষ যেসব আসামিকে বিশেষ প্রয়োজন মনে করবে সেসব আসামিকেই তল্লাশি করা হবে।
এছাড়া অন্য সকল আসামিকে সাধারণ পদ্ধতিতে তল্লাশি করা হবে। অত্যাধুনিক এ মেশিনের মাধ্যমে কারাবন্দীই শুধু নয় সন্দেহজনক যে কোনো কারা কর্মকর্তা বা কর্মচারী এবং কারারক্ষীর দেহও তল্লাশি করা হবে। একজন ডেপুটি জেলার এ বডি স্ক্যানার পরিচালনার দায়িত্বে থাকবেন। প্রায় ৩ কোটি ৮০ লাখ টাকা ব্যয়ে এই দুটি বডি স্ক্যানার কেনা হয়েছে।
কারাগারে অবৈধ ও নিষিদ্ধ পণ্য প্রবেশ ঠেকাতে দেহ তল্লাশিতে দেশের গুরুত্বপূর্ণ সকল কারাগারেই বডি স্ক্যানার বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে।
কারা অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এই বডি স্ক্যানারের মাধ্যমে যে কোন ব্যক্তি শরীরের সাথে এমনকি পেটের ভেতরে করেও যে কোন প্রকার মাদক বা অবৈধ পণ্য নিয়ে কারাগারে প্রবেশ করতে চাইলে তা এই মেশিনের মাধ্যমে স্ক্যান করলেই অতি সহজেই কয়েক সেকেন্ডের মাধ্যমে ধরা পড়বে। ফলে কোনো অবৈধ পণ্যই কারাগারে প্রবেশ করতে পারবে না।
কারা সূত্র জানায়, কারাগারের নিরাপত্তা ব্যবস্থা উন্নত বিশ্বের মতো আধুনিকায়ন করতে ২০১৬ সালের নেয়া এই গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পটির মেয়াদ চলতি বছরের ডিসেম্বরে শেষ হবে।
কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ ইফতেখার উদ্দীন বলেন, আধুনিক প্রযুক্তিতে অত্যন্ত কম সময়ে দেহ তল্লাশির মাধ্যমে কারাভ্যন্তরে সকল প্রকার অবৈধ পণ্য প্রবেশ ঠেকাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করবে এসব বডি স্ক্যানার।