দেশে ৮০ হাজার খানায় শুরু হচ্ছে কৃষি-পল্লী পরিসংখ্যান জরিপ
সাইদ রিপন : দেশে প্রথমবারের মতো ৮০ হাজার খানায় কৃষি ও পল্লী পরিসংখ্যান জরিপ (এআরএএস) করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)। মূলত ছয়টি লক্ষ্যকে কেন্দ্র করে এ জরিপ করা হবে। আগামীকাল রোববার বিবিএসে এ প্রকল্পটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভগের ভারপ্রাপ্ত সচিব সৌরেন্দ্র নাথ চক্রবর্ত্তী। প্রায় চার কোটি টাকা ব্যয়ে এটি ২০১৭ সালের জুলাই থেকে ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মেয়াদে বাস্তবায়ন করা হবে।
বিবিএস সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে কৃষিখাতের ভূমিকা অপরিসীম। মোট দেশীয় উৎপাদনে (জিডিপি) এ খাতের অবস্থান শতকারা ১৬ দশমিক ৭৮ শতাংশ। দেশের মোট জনসংখ্যার ৭২ ভাগ পল্লী এলাকায় বাস করে। সুতরাং পল্লী এলাকার এই বিশাল জনগোষ্ঠীর উন্নয়নের উপরে দেশের সার্বিক উন্নয়ন নির্ভর করে। দেশের মোট শ্রম শক্তির শতকরা ৪৭ ভাগের বেশি এ সেক্টরে নিয়োজিত। জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ে উন্নয়ন পরিকল্পনায় তথ্যের প্রয়োজনীয়তা অপরিহার্র্য।
সূত্র জানায়, সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পকিল্পনার মূল লক্ষ্য হলো জাতীয় অগ্রাধিকার, নিরাপদ খাদ্য ও খাদ্য নিরাপত্তার প্রয়োজনীয় উপাত্ত প্রস্তুত করা। এছাড়া সরকারের টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) বাস্তবায়নে কৃষি সেক্টরের তথ্য সংগ্রহ, সংকলন ও প্রকাশের ক্ষেত্রে সময়াবদ্ধ নির্ধারন করা। এজন্য বিবিএস কৃষি ও পল্লী পরিসংখ্যান জরিপ-২০১৭ শীর্ষক প্রকল্পটি পরিচালনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বিবিএস মহাপরিচালক আমীর হোসেন বলেন, কৃষি ও পল্লীর সঠিক পরিসংখ্যান আমাদের হাতে নেই। ফলে উন্নয়নমূলক প্রকল্প নিতে নানা সমস্যা হয়। এই বিষয়ে জরিপটা হয়ে গেলে আমরা সঠিক সিদ্ধান্ত স্বল্প সময়ে নিতে পারবো। এই জন্যই সারাদেশে প্রকল্পটি প্রথমবারের মতো বাস্তবায়িত হবে। কৃষিখাতের উন্নয়নে করণীয় বিষয়ে সরকার সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারবে। কৃষি প্রধান বাংলাদেশে কৃষি পল্লী জরিপের কোনো বিকল্প নেই বলে জানান তিনি। এ বিষয়ে প্রকল্প পরিচালক আখতার হাসান খান বলেন, কৃষি ও পল্লী পরিসংখ্যান জরিপ (এআরএএস) প্রথমবারের মতো দেশের ৬৪টি জেলায় অনুষ্ঠিত হবে। এ জরিপের মাধ্যমে কৃষি ও পল্লীর সকল তথ্য সংগ্রহ করা হবে।
প্রকল্পটির উদ্দেশ্যে বলা হয়েছে, নির্ভুল তথ্য অনুসন্ধানে পল্লী এলাকায় খানার আর্থ-সামাজিক অবস্থান, মালিকানা ভিত্তিক কৃষি জমি, কৃষি কাজে ব্যবহৃত সেচ, সার, বীজ, বালাইনাশক ও কীটনাশক, কৃষি ঋণ এবং ঋণের ব্যবহার, কৃষি যন্ত্রপাতি, যাতায়াত, কৃষি পণ্য বিপনন এবং কৃষি মূল্য, কৃষি শ্রমিক, কর্মঘন্টা, শ্রমিকের মজুরির হার, লিঙ্গ সমতা ও পরিসংখ্যান ও নারীর ক্ষমতায়ন তথ্য সংগ্রহ করা হবে।