আবদুর রহমান
কোটা ব্যবস্থা থাকার দরকার আছে। তবে সেটা সে সকল লোকদের জন্য, যারা আমাদের মত স্বাভাবিক মানুষ নয়। আমাদের মত সকল কাজে যারা সক্ষম নয়। বাংলাদেশে এমন অনেক শিক্ষার্থী আছে, যার এক হাত নেই, কিংবা এক পা নেই । তবুও সে পিছিয়ে নেই। কারণ, তার অদম্য মেধা আছে। সে তার মেধার জোড়ে এগুতে চাইলেও পারে না । তাই তাদের কোটা সুবিধা দিয়ে মেধা কে কাজে লাগানোর সুযোগ করে দেওয়া উচিত। মুক্তিযোদ্ধা কোটা ত্রিশ শতাংশ পাঁচ শতাংশে নামিয়ে প্রতিবন্ধি কোটা বাড়ালেও আমাদের আফসুস থাকবে না। ৫৬ শতাংশ কোটার মধ্যে মুক্তিযোদ্ধা কোটাই ত্রিশ শতাংশ। আমার মনে একটি প্রশ্ন জাগে, দেশে একশ জন চাকরী প্রার্থীর মধ্যে কি ত্রিশ জন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান আছে ? নাতী/নাতনী থাকলেও তার সংখ্যাই বা কত ? জরিপ করে এর একটি সংখ্যা প্রকাশ করা হোক। এভাবে যদি চলতে থাকে তাহলে, বছরের পর বছর চলতে থাকবে, তবুও মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরী প্রার্থীর সংখ্যা ফুরাবে না। কারণ, কোটা সুবিধার জন্য দেশে মুক্তিযোদ্ধাও বাড়তে থাকবে। সুতরাং আমি বলব, মুক্তিযোদ্ধা কোটা অবিলম্বে ত্রিশ শতাংশ থেকে কমিয়ে আনা হোক। নারী কোটার কথা বলতে গেলে আমাদের দেশে যারা নারীবাদী গোষ্ঠী, তারা চাইবে মূলত নারী কোটা থাক। কিন্তু আমাদের দেশের বর্তমান নারীরা কোন অংশে পিছিয়ে নেই। তারা নিজেরা নিজেদের মেধা দিয়েই অনেক ক্ষেত্রে সমান তালে লড়াই করে যাচ্ছে। তাদেরকে কোটা সুবিধা দেওয়ার মানে নেই।
পরিচিতি : শিক্ষার্থী , ঢাকা কলেজ/মতামত গ্রহণ : মাহবুবুল ইসলাম/সম্পাদনা : মোহাম্মদ আবদুল অদুদ