‘সবার জন্য পুষ্টিকর ও নিরাপদ খাদ্যের নিশ্চয়তা চাই’
কায়েস চৌধুরী : সবার জন্য পুষ্টিকর ও নিরাপদ খাদ্যের নিশ্চয়তা চাই, খাদ্য অধিকার আইন চাই এ স্লোগানকে সামনে রেখে গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে খাদ্য অধিকার বাংলাদেশ নামক সংগঠনটি এক মানববন্ধন কর্মসূচীর আয়োজন করে। ক্যাম্পেইনের কেন্দ্রীয় এ কর্মসূচির প্রধান বক্তা মহসিন আলী তার বক্তব্যে বলেন, ২০১৫ সালের আগেই দারিদ্র্যের হার ১৫ শতাংশের বেশি কমিয়ে ‘সহ¯্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা’ (গউএ) পূরণ করেছে বাংলাদেশ। জাতিসংঘের কমিটি ফর ডেভেলপমেন্ট পলিসি (সিডিপি) বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দিলেও চূড়ান্তভাবে এই অবস্থান নিশ্চিত করতে ২০২৪ সাল পর্যন্ত উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হবে। তারপরও দেশে দরিদ্র মানুষের এক অংশের খাদ্য নিরাপত্তা, গুণগত শিক্ষা, স্বাস্থ্য সেবা, কর্ম-সংস্থান ইত্যাদি ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সাফল্য এখনও আমরা অর্জন করতে পারিনি। তিনি বলেন, খাদ্য নিরাপত্তার সাথে পুষ্টি নিরাপত্তার বিষয়টিও অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত। গত দশ বছরে অপুষ্টিজনিত সমস্যায় ভোগা মানুষের সংখ্যা বেড়েছে। যার মধ্যে নারী ও শিশুদের খাদ্য ও পুষ্টি পরিস্থিতি আরও নাজুক।
এ প্রেক্ষিতে সারা বিশ্বে ‘খাদ্য অধিকার’-এর গুরুত্ব দিন দিন বাড়ছে। ২০২১ সালের মধ্যে প্রকৃত মধ্য-আয়ের দেশে পরিণত হওয়া, ২০২৪ সাল পর্যন্ত উন্নয়নের বর্তমান ধারা নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা ও এসডিজির লক্ষ্য পূরণসহ সকল আন্তর্জাতিক অঙ্গীকার বাস্তবায়নে সব মানুষের জন্য পর্যাপ্ত ও টেকসই খাদ্য ব্যবস্থা নিশ্চিত করা প্রয়োজন।
এ লক্ষ্যে রাষ্ট্রের উদ্যোগে খাদ্য অধিকার আইন প্রণয়নের কোনো বিকল্প নেই।
মানববন্ধন কর্মসূচীর আরো বক্তব্য রাখেন খাদ্য অধিকার বাংলাদেশ জাতীয় কমিটির সহ-সভাপতি ও নারী মৈত্রীর নির্বাহী পরিচালক শাহীন আক্তার ডলি, খাদ্য অধিকার বাংলাদেশ জাতীয় কমিটির অন্যতম সম্পাদক যথাক্রমে হাঙ্গার ফ্রি ওয়ার্ল্ড-এর দেশীয় পরিচালক আতাউর রহমান মিটন ও একলাব-এর নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ তরিকুল ইসলাম, স্বাধীন বাংলা গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মীর নেওয়াজ, বাস্তব-এর নির্বাহী পরিচালক রুহী দাস, বিকল্প উন্নয়ন পরিষদের নির্বাহী পরিচালক শামসুল আলম, ন্যাশনাল ইয়ুথ এসেম্বলির সদস্য ইব্রাহীম খলিল এবং সংশ্লিষ্ট আন্তর্জাতিক ও জাতীয় সংস্থাসমূহের নেতৃবৃন্দ।