অন্য প্রতিষ্ঠানের জুতা নিজ নামে বিক্রি করতো মার্ক বাংলাদেশ
ফয়সাল মেহেদী : মার্ক বাংলাদেশ শিল্প অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি কোনো পণ্য উৎপাদন করতো না। অন্য প্রতিষ্ঠান থেকে জুতা কিনে ‘মার্ক সু’ নামে বাজারে বিক্রয় করতো কোম্পানিটি। গতকাল বৃহস্পতিবার শেয়ারবাজার সংক্রান্ত মামলা নিষ্পত্তির জন্য গঠিত বিশেষ ট্রাইব্যুনালে এমন সাক্ষ্য দিয়েছেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্বাহি পরিচালক এটিএম তারিকুজ্জামান। এটিএম তারিকুজ্জামান তার সাক্ষ্যে আরও বলেন, তিনি নিজে মার্ক বাংলাদেশ শিল্প অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি পরিদর্শন করেছেন। সরেজমিনে কোম্পানি কর্তৃপক্ষের স্থায়ী সম্পদের মূল্য অনেক বেশি দেখানোর সত্যতা পাওয়া যায়। এছাড়াও কোম্পানি কর্তৃপক্ষ অবৈধভাবে বেনামে শেয়ার বিক্রয় করেছে বলেও জানান তিনি। সাক্ষ্যগ্রহন শেষে এ মামলার পরবর্তী বিচার কাজের জন্য আগামি ৭ মে ধার্য করেছেন বিচারক আকবর আলী শেখ। এদিন ট্রাইবুন্যালে বিএসইসির প্যানেল আইনজীবী মো. মাসুদ রানা খান ও বিএসইসির সহকারি পরিচালক মুন্সী এনামুল হক ও মামলার বাদি বিএসইসির উপ-পরিচালক এএসএম মাহমুদুল হাসান উপস্থিত ছিলেন। এর আগে গত ৩ এপ্রিল এ মামলায় সাক্ষ্য দেন বিএসইসির নির্বাহি পরিচালক ফরহাদ আহমেদ। ওইদিন তিনি এই কোম্পানির মতো ঠক ও প্রতারক কোম্পানি জীবনে কোনদিন দেখেননি বলে সাক্ষ্য দেন। তিনি বলেন, শেয়ারবাজারে ধসের জন্য দায়ী কোম্পানিগুলোর মধ্যে মার্ক বাংলাদেশ প্রথম সারির।
এর আগে মামলাটিতে সাক্ষ্য দিয়েছেন বিএসইসির উপ-পরিচালক এএসএম মাহমুদুল হাসান ও সাবেক উপ-পরিচালক শুভ্রকান্তি চৌধুরী। এ মামলার আসামিরা হলেন- মার্ক বাংলাদেশ শিল্প অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, কোম্পানির চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইমাম মুলকুতুর রহমান, ভাইস-চেয়ারম্যান আব্দুল হাই ও পরিচালক সালমা আক্তার। মামলার শুরু থেকেই আসামিরা পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি রয়েছে বিশেষ ট্রাইব্যুনালের।
জানা গেছে, ১৯৯৯ সালে শেয়ার নিয়ে কারসাজির দায়ে ২০০০ সালে মার্ক বাংলাদেশ শিল্প অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানিটিসহ ৪জনকে আসামি করে বিএসইসির পক্ষে মামলা দায়ের করেন কমিশনের তৎকালীন উপ-পরিচালক আহমেদ হোসেন। সিকিউরিটিজ অধ্যাদেশের ২৫ ধারা অনুযায়ী এ মামলা করা হয়। ২০১৬ সালের ৬ নভেম্বর ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালত থেকে মামলাটি ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তরিত হয়। ফলে সিএমএম আদালতের ১৩৬৪/২০০০ নম্বরের মামলাটি ট্রাইবুন্যালের মামলা নং ৩/১৬।