জলপথ তৈরি নিয়ে আইজিসি বৈঠকে ভারতের সঙ্গে আলোচনা করবে নেপাল
সাউথএশিয়ান মনিটর : ট্রানজিট চুক্তি কাঠামোতে অভ্যন্তরীণ জলপথ তৈরির বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা নিয়ে ভারতের সঙ্গে আলোচনায় বসবে নেপাল। আগামী ২৮-২৭ এপ্রিল পোখারায় অনুষ্ঠিততব্য আন্ত:সরকার কমিটি (আইজিসি)’র বৈঠকে এ আলোচনা করা হবে।
চলতি মাসে নেপাল প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা অলির ভারত সফরকালে প্রকাশিত যৌথ ইশতেহারে অভ্যন্তরীণ জলপথের মাধ্যমে নেপালকে সাগরের সঙ্গে সংযুক্ত করতে নতুন কানেকটিভি তৈরির প্রস্তাব দেয়া হয়।
নতুন জলপথ নেপালে পণ্য পরিবহণ সহজ করবে। যৌথ ইশতেহারে নেপালের প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন যে নেপালের বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে বিপুল অবদান রাখবে বাড়তি কানেকটিভিটি।
শিল্প সচিব চন্দ্র কামার ঘিমেরি বলেন, আইজিসি’র বৈঠকে ট্রানজিট চুক্তিতে জলপথ কানেকটিভিটি সংযুক্ত করার বিষয়ে দুই দেশ আলোচনা করবে।
তিনি বলেন, এই প্রথম জলপথের মাধ্যমে নেপালকে ট্রানজিট দিতে ভারত রাজি হয়েছে। আইজিসি বৈঠকে প্রথমবারের মতো বিষয়টি উত্থাপন করা হবে।
এ ধরনের জলপথ তৈরির মডালিটি ও প্রসিডিউর নিয়ে দুই পক্ষ আলোচনা করবে বলে নেপালের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব রবি শঙ্কর সাইনজু বলেন, আমরা প্রথমে এটি ট্রানজিট চুক্তি কাঠামোতে অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা চালাবো। এরপর পোর্ট অব এন্ট্রি পয়েন্ট এবং পোর্ট অব এরায়েভাল চূড়ান্ত করা হবে। সেজন্য চুক্তির প্রোটকলে এটি সংযুক্ত করতে হবে।
মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান যে আইজিসি বৈঠকের আগে বিষয়টি নিয়ে নিজেদের মধ্যে আলোচনা চললেও এখন পর্যন্ত চূড়ান্ত কিছু হয়নি।
এই প্রকল্পে গত ফেব্রুয়ারিতে বিশ্বব্যাংক ভারতকে ৩৭৫ মিলিয়ন ডলার ঋণ অনুমোদন করে।
এই প্রকল্পের আওতায় নেপালের কোশি ও নারায়নি নদীকে গঙ্গার সঙ্গে যুক্ত করা হবে। গঙ্গার মতো বড় নদী পথে সহজেই পণ্য পরিবহন করা যাবে। তবে, নেপালের ছোট আকারের নদীগুলো এ ক্ষেত্রে কতটা কার্যকর হবে তা নিয়ে এখনো কোন জরিপ চালানো হয়নি। সম্পাদনা : ইমরুল শাহেদ