জাফর আহমদ: সুইফট কোর্ড হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে হ্যাকাররা বাংলাদেশ ব্যাংকের ৮১ মিলিয়ন ডলার রিজার্ভ চুরি করে নিয়ে যায়। ১৫ মিলিয়ন ডলার বাংলাদেশ ফিরিয়ে আনলেও এখনো ৬৬ মিলিয়ন ডলার ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়নি। চুরি যাওয়া এ অর্থ ফিরিয়ে আনতে বাংলাদশ আইনি প্রক্রিয়া ও আদালতের বাইরে বিভিন্ন পদ্ধতি অনুসরণ করছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গর্ভনর আবু হেনা মো. রাজি হাসান। ২০১৫ সালে সাইবার অপরাধের একটি ঘটনা আদালতের বাইরে নিস্পত্তি করে ইকুয়েডরের একটি ব্যাংক ও যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েলস ফারগো। বাংলাদেশ ব্যাংকও চুরি যাওয়া রিজার্ভ উদ্ধারে এ ধরনের পদক্ষেপ নিতে পারে কিনা-এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
রাজি হাসান বলেন, একুয়েডরের মামলা করেছিল, শুনানীর ডেটও হয়েছিল। কিন্তু আদালতের বাইরে তারা সব ফয়নালা করে ফেলেছিল। বাংলাদেশ ব্যাংকের টাকা গিয়েছে মানে দেশের টাকা গিয়েছে। এই টাকা ফেরোনার জন্য যত পথ আছে আমরা সব কিছু করছি, করবো। আদালতের বাইরে ফিলিপাইনে কিছু টাকা পাওয়া যাচ্ছিলো, তখন কি এ এ ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল-এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তখনো সে চেষ্টা ছিল। কিন্তু আদালতের মাধ্যমে সে ব্যবস্থা নিতে হবে। কারণ মিউচুয়্যাল লিগ্যাল এ্যাসিসটেন্সের মাধ্যমে তারা মামলা করেছে; মামলা করলে টাকা ফেরত দিলে কি হবে, তাদের পক্ষভুক্ত করবে, তাদের আসামী করবে, অর্থাৎ তাদের ক্ষতি হবে-তাদের মধ্যে এমন চিন্তা কাজ করছিল। এ সব ভেবে তারা পিছিয়ে গেছে। আর তাছাড়া পুরো টাকা তখনো আইডেন্টিফাই করা যায়নি। পুরো টাকা ফিরে আনতে যতগুলো পথ আছে অবলম্বন করছি। এবং পুরো টাকা আমরা ফেরত পাবো। সম্পাদনা: আনিস রহমান