তহবিল সঙ্কটে মিসাইল সিস্টেম কেনা বন্ধের কথা ভাবছে ভারতীয় সেনাবাহিনী
সাউথএশিয়ান মনিটর : অত্যাবশ্যকীয় গোলাবারুদ, স্পেয়ার ও মিসাইলের যে ১৫ থেকে ২০ শতাংশ ঘাটতি রয়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনীর, জরুরি ভিত্তিতে সেটা পূরণের জন্য দামি যন্ত্রপাতি কেনার সিদ্ধান্ত বাদ দেয়ার প্রস্তাব করেছে সেনাবাহিনী। একইসঙ্গে, পুরনো প্ল্যাটফর্মের যন্ত্রপাতির জন্য খুচরা যন্ত্রাংশ কেনার ব্যাপারেও আর না আগানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
যে সব ব্যায়বহুল সরঞ্জাম চিহ্নিত করেছে সেনাবাহিনী, সেগুলোর মধ্যে ভারি বহুমুখী রকেট লঞ্চার এবং ট্যাঙ্ক-বিধ্বংসী যন্ত্রপাতি না কেনার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ সূত্র ইন্ডিয়া টুডেকে জানিয়েছে যে দ্বিবার্ষিক যে আর্মি কমান্ডার্স কনফারেন্স চলছে, সেখানে সভাপতিত্ব করবেন ভারতীয় সেনাপ্রধান। সম্মেলনে এই বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হবে।
কিন্তু এমনকি ব্যায়বহুল সরঞ্জাম কেনা বাতিল করলে বা পুরনো যন্ত্রপাতির জন্য খুচরা যন্ত্রাংশ কেনা বাদ দিলেও তা ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রয়োজনের জন্য যথেষ্ট হবে না। সেনাবাহিনীর নিজস্ব হিসাবেই এ তথ্য জানা গেছে। কমান্ডারদের এটা জানানো হবে যে দামি যন্ত্রপাতি না কিনলে এবং পুরনো যন্ত্রপাতির জন্য খুচরা যন্ত্রাংশ কেনা বাদ দিলে সেনাবাহিনী আগামী তিন অর্থবছরে ৬০০ থেকে ৮০০ কোটি রুপি বাঁচাতে পারবে। কিন্তু ১৫ থেকে ২৫ শতাংশ জরুরি গোলাবারুদের জন্য যে পরিমাণ অর্থ দরকার সেখানে ঘাটতি থেকেই যাবে।
শীর্ষ সূত্রগুলো ইঙ্গিত দিয়েছে যে, সেনা কমান্ডাররা সরকারকে আরও তহবিলের জন্য বলবে মনে করা হচ্ছে। সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর বাধ্যবাধকতা হলো টানা চল্লিশ দিন যুদ্ধ চালানোর জন্য প্রস্তুতি থাকতে হবে তাদের।
সে জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জামও থাকতে হবে তাদের। কিন্তু চরম তহবিল সঙ্কটের কারণে, সরকার যুদ্ধের জন্য রিজার্ভ থেকে কাটছাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এতে করে এখন বাহিনীগুলোর যে সক্ষমতা রয়েছে, টানা দশ দিনের বেশি যুদ্ধ চালিয়ে যেতে পারবে না তারা।
যে সব যন্ত্রপাতিকে সেনাবাহিনী ব্যায়বহুল হিসেবে চিহ্নিত করেছে, এগুলোর মধ্যে রয়েছে বহুমুখী রকেট লঞ্চার যেগুলো আর্টিলারি ব্যাটারি ও শত্রুর কমান্ড পোস্ট ধ্বংসের জন্য ব্যবহার করা হয়, রয়েছে ট্যাঙ্ক-বিধ্বংসী অস্ত্র এবং যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যবহারের উপযোগী বিশেষায়িত মাইন।
এটা জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ যে বর্তমানে এইসব যন্ত্রপাতির যে রিজার্ভ রয়েছে তা দিয়ে দশ দিনের যুদ্ধেও টিকে থাকা যাবে না। সেনা কমান্ডারদের বলা হবে, অর্থ বাঁচানোর জন্য তারা যেন এ সব আইটেম আর না কেনেন।