৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর ব্যাংকের টাকা লুটের পরিকল্পনাকারী শরিফুল গ্রেফতার
সুজন কৈরী ও মামুন আহম্মেদ খান: চীনের প্রযুক্তি ব্যবহার করে ব্যাংকের টাকা লুটের পরিকল্পনাকারী শরিফুলকে গ্রেফতার করেছে সিআইডি। গতকাল বুধবার তাকে আদালতে তুলে ১০ দিনের রিমান্ড চাইলে আদালত ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
ঢাকা মহানগর হাকিম ফাহ্দ বিন আমিন চৌধুরী রিমান্ডের আদেশ দেন ।
এর আগে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজধানীর মিরপুর এলাকা থেকে ক্রেডিট কার্ড জালিয়াতি মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গতকাল বুধবার দুপুরে সিআইডি সদর দফতরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সিআইডির অর্গানাইজড ক্রাইমের বিশেষ পুলিশ সুপার (এসএসপি) মোল্যা নজরুল ইসলাম বলেন, ব্রাক ব্যাংক, সিটি, ইবিএল, ইউসিবিএল ও ব্যাংক এশিয়াসহ পাঁচ ব্যাংকের কার্ড জালিয়াতি করে অর্থ আত্মসাত করে শরিফুল। তার কাছ থেকে একটি ল্যাপটপ, বিভিন্ন ব্যাংকের ১ হাজার ৪০০টি ক্লোন কার্ড, একটি ম্যাগনেটিক স্ট্রিপ কার্ড রিডার ও রাইটার, তিনটি পজ মেশিন, সচল ডিজিটাল হাতঘড়ি (গ্রাহকদের তথ্য চুরিতে ব্যবহৃত), দুটি মিনি কার্ড রিডার ডিভাইস, ১৪টি পাসপোর্ট, আটটি মোবাইল ফোনসেট, ডাচবাংলা ব্যাংকের একটি নেক্সাস ক্রেডিট কার্ড, একটি কালো রঙের সানগ্লাস ও তিনটি এনআইডি কার্ড উদ্ধার করা হয়।
নজরুল ইসলাম আরো বলেন, গতমাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে পাঁচ ব্যাংকের কার্ড জালিয়াতির অভিযোগ পাওয়ার পর তদন্তে জানা যায়, ব্যাংকের গ্রাহকরা বিভিন্ন সুপার শপ ও ডিপার্টমেন্ট স্টোর থেকে পণ্য কেনার পর কার্ড পাঞ্চ করার সময় একটি চক্র কৌশলে গ্রাহকদের তথ্য চুরি করে ক্লোন কার্ড তৈরি করে। পরে এসব ক্লোনো কার্ড দিয়ে এটিএম বুথ থেকে টাকা চুরি করে নেয়। প্রতারক শরিফুল ইসলাম ডিপার্টমেন্টাল শপ স্বপ্নের বনানী শাখায় কাজ করতো। তার হাতঘড়িতে থাকা বিশেষ স্ক্যানিং ডিভাইসের মাধ্যমে গ্রাহকদের এটিএম কার্ডের তথ্য চুরি করতো। এরপর বাসায় গিয়ে তার ল্যাপটপ এবং ডিভাইসের মাধ্যমে কাস্টমারের তথ্যগুলো ভার্জিন কার্ড বা খালি কার্ডে স্থাপন করে ক্লোন এটিএম কার্ড বানাতো। বুথে টাকা তোলার সময় সিসি ক্যামেরায় যাতে তাকে চেনা না যায় সে জন্য পরচুল এবং চশমা ব্যবহার করতো। শরিফুলের বাবা ইয়াজ উদ্দিন বিশ্বাস। মেহেরপুরের গাঙনী উপজেলার হেমায়েতপুর গ্রামে তাদের বাড়ি। সম্পাদনা: আনিস রহমান