গ্রেফতারকৃত বিচারপতিদের সরিয়ে দেয়ার ব্যাপারে আইনের সমর্থন দিয়েছে মালদ্বীপের শীর্ষ আদালত
সাউথএশিয়ান মনিটর : মালদ্বীপের সরকারকে উৎখাত করার ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতারকৃত সুপ্রিম কোর্টের দুই শীর্ষ বিচারপতিকে বরখাস্তের জন্য বিচারপতি অ্যাক্টে যে সংশোধনী এনেছে সরকার-নিয়ন্ত্রিত পার্লামেন্ট, ‘ডকট্রিন অব নেসেসিটি’র উল্লেখ করে বুধবার (২৫ এপ্রিল) তাতে সমর্থন দিয়েছে দেশটির সুপ্রিম কোর্ট।
ক্ষমতাসীন দলের ডেপুটি প্রধান এবং ফোনাধু এমপি আব্দুল রহিম আবদুল্লার আনা ওই সংশোধনী প্রস্তাব পার্লামেন্টে ৩৮ ভোটে পাস হয়। বিরোধী এমপিরা যথারীতি পার্লামেন্ট বয়কট করে চলেছেন।
পার্লামেন্টে কোরাম সঙ্কট থাকায় ওই আইনের বৈধতা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ করেন বিরোধী দলের তিনজন এমপি।
শীর্ষ আদালত তাদের রায়ে আইন পাশের জন্য পার্লামেন্টে কোরাম সঙ্কট থাকার বিষয়টি স্বীকার করেন। তবে ‘ডকট্রিন অব নেসেসিটির’ উল্লেখ করে তারা বলেন এই আইনটি ফিরিয়ে নেয়ার কোন ভিত্তি নেই এখন। সংশোধনী অনুযায়ী, কোন বিচারপতি ফৌজদারি অপরাধের দায়ে অভিযুক্ত প্রমাণিত হলে তিনি স্বয়ংক্রিয়ভাবে তার পদ হারাবেন।
সংশোধনীতে বলা হয়েছে, কোন বিচারপতি অপরাধী কর্মকা-ের দায়ে দোষি সাব্যস্ত হলে রায়ের সাথে সাথে পদ হারাবেন তিনি। সংশোধনীতে বিচারপতিদের বরখাস্থের ব্যাপারে সংবিধানের অনুচ্ছেদকেও পাশ কাটিয়ে যাওয়া হয়েছে এই যুক্তিতে যে, এটা বিচারপতিদের আচরণের সাথে সংশ্লিষ্ট নয়। সংশোধনীতে বলা হয়েছে, বিচারপতি গ্রেফতার হলে তাকে বেতন দিয়ে তাৎক্ষণিক বরখাস্থ করবে জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশন (জেএসসি)। তবে, যদি তারর বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ উত্থাপন করা হয়, তাহলে দোষি সাব্যস্ত হলে তাকে বরখাস্ত করতে হবে, এবং সেক্ষেত্রে তাকে বেতনও দেয়া যাবে না। ক্ষমতাসীন দল তাদের সংশোধনীতে আপিলের সময়সীমাও কমিয়ে এনেছে।
অভিযুক্ত বিচারপতিকে অবশ্যই দশ দিনের মধ্যে প্রথম আপিল দায়ের করতে হবে। এ ব্যপারে রায় দেয়ার জন্য ফার্স্ট আপিল কোর্ট ৩০ দিন সময় পাবে। একই ভাবে আপিলটি সুপ্রিম কোর্টে গেলে সুপ্রিম কোর্টও সেটি নিষ্পত্তির জন্য ৩০ দিন সময় পাবে। সম্পাদনা : ইমরুল শাহেদ