লিটনের ডাবল সেঞ্চুরিতে এগিয়ে পূর্বাঞ্চল
নিজস্ব প্রতিবেদক : শিরোপার লড়াই থেকে ছিটকে পড়ায় রাজশাহীতে পূর্বাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলের ম্যাচটা ছিলো নিছক আয়োজনের। আর নিরুত্তাপ এ ম্যাচটাও এগুচ্ছিল নিষ্প্রাণ ড্রয়ের দিকে। তবে বৃহস্পতিবার ম্যাচে দারুণ উত্তাপ ছড়ালেন লিটন কুমার দাস। আগের দিন সেঞ্চুরি তুলে নেওয়া এ ব্যাটসম্যান এদিন ডাবলতো হাঁকিয়েছেনই, এগিয়ে যাচ্ছিলেন দেশের দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে ট্রিপল সেঞ্চুরি করার পথে। শেষ পর্যন্ত পেরে ওঠেননি। তবে তার ইনিংসে ভর করে মধ্যাঞ্চলের রানের পাহাড় টপকে উল্টো লিড নিয়েছে পূর্বাঞ্চল। তৃতীয় দিন শেষে ৪৬ রানে এগিয়ে আছে দলটি। প্রথম ইনিংসে ৬ উইকেটে ৫৯২ রান করেছে তারা। ৫৪৬ রান করেছিল মধ্যাঞ্চল। ডাবল সেঞ্চুরি আগে দুইবার করেছেন লিটন। এদিন করলেন আরও একটি। তবে এই ডাবলকে ট্রিপলে রূপ দেওয়ার খুব কাছে গিয়েও ব্যর্থ হলেন তিনি। ইলিয়াস সানীর বলে এলবিডাব্লিউর ফাঁদে পড়ে গতকাল ২৭৪ রানে থামতে হয় পূর্বাঞ্চলের এ ওপেনারকে। তবে ইনিংসটি বেশ আগ্রাসী ঢঙেই খেলেছেন লিটন। বল মোকাবেলা করেছেন ২৯৩টি। অনেকটা ওয়ানডে স্টাইলেই ব্যাট চালিয়ে নিজের ইনিংসটি সাজান ৩৫টি চার ও ২টি ছক্কায়। দেশের চতুর্থ ক্রিকেটার হিসেবে প্রথম শ্রেণির ম্যাচে ৩টি ডাবল সেঞ্চুরি করলেন লিটন। তার আগে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, তুষার ইমরান ও অলক কাপালি ৩টি করে ডাবল সেঞ্চুরি করেছেন। রাজশাহীর শহীদ কামরুজ্জামান স্টেডিয়ামে আগের দিনের ৩ উইকেটে ২৬৪ রান নিয়ে এদিন সকালে ব্যাট করতে নামে পূর্বাঞ্চল।
দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান লিটন ও আফিফ হোসেন সাবলীলভাবেই ব্যাট চালাতে থাকেন। লিটনের ডাবলের দিনে দারুণ এক সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন আফিফও। ১৪২ রানের ইনিংস খেলেন এই টিনএজার। ২২৭ বলে ১৫টি চার ও ৪টি ছক্কায় নিজের এ ইনিংস খেলেন আফিফ। তিনিও আউট হন ইলিয়াস সানির শিকার হয়ে।
চতুর্থ উইকেটে আফিফ ও লিটন স্কোরবোর্ডে ২৯৮ রান যোগ করেন। মূলত এ জুটিতে ভর করেই লিড নিতে পারে পূর্বাঞ্চল। তবে আফিফ আউট হওয়ার পর অধিনায়ক অলক কাপালির সঙ্গেও ১২৭ রানের দারুণ এক জুটি গড়েন লিটন। তবে তাতে কাপালির অবদান মাত্র ১১ রান। কাপালি আউট হওয়ার পর স্কোরবোর্ডে আর ৬ রান যোগ করতেই আউট হন লিটন। এরপর দলের হাল ধরেন জাকের আলী ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। এর মধ্যেই অবিচ্ছিন্ন থেকে গড়েছেন ৬০ রানের জুটি। জাকের ৩২ ও সাইফউদ্দিন ২৯ রান নিয়ে ব্যাট করছেন।
মধ্যাঞ্চলের পক্ষে ১৫৬ রানের খরচায় ৩টি উইকেট নিয়েছেন শুভাগত হোম। আর ১৩৫ রানের বিনিময়ে সানী শিকার করেন ২টি উইকেট। ১টি উইকেট নেন মোশারফ হোসেন রুবেল।