নারী সাব-ইন্সপেক্টর সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল ‘পপির মতো পুলিশ হলে বদলে যেত বাংলাদেশ’
সুশান্ত সাহা : আহত পথযাত্রীর পায়ের শুশ্রুষায় সাব-ইন্সপেক্টর পপির ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক প্রশংসা পেয়েছে তার এই ভূমিকা।
শবনম আক্তার পপি পুলিশের ‘রোল মডেলে’র উপাধী পেয়েছেন। পপির মতো যদি সব পুলিশ হত, তাহলে বদলে যেত বাংলাদেশ । সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমনটাই লিখে অনেকেই পোস্ট দিচ্ছেন।
জানা গেছে, গত ২২ এপ্রিল রাজধানীর মহাখালী এলাকায় দায়িত্ব পালনকালে ওয়্যারলেসে বার্তা পান মহাখালিতে এক্সিডেন্ট হয়েছে। তখনই ছুটে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখেন ভয়াবহ পরিস্থিতি। ভিআইপি পরিবহনের একটি বাস ফ্লাইওভার থেকে নীচে নামার সময় ব্রেক ফেল করে সামনের গাড়িতে ধাক্কা মারে। এতে পরপর দশটি গাড়িতে ধাক্কা লাগে। একটা পিক-আপ ভ্যান উল্টে একজন মারাত্মকভাবে আহত। কয়েকজন মোটরবাইক আরোহীও আহত হন। এরপর যা করেছেন পপি তা আজ তাকে আলোচনায় নিয়ে এসেছে।
এবিষয়ে পপি বলেন, ঘটনার গুরুত্ব বুঝে কাছাকাছি আরও যে পুলিশ সদস্যরা ছিলেন তাদের সাহায্য চাইলাম আমি। ভিআইপি পরিবহনের গাড়িটা বিকল হয়ে পড়েছিল একেবারে মাঝ রাস্তায়। এর ফলে সেখানে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত আমি সিদ্ধান্ত নিলাম, আমি নিজেই গাড়িটা চালিয়ে রাস্তা থেকে সরিয়ে নেব।
তিনি বলেন, আমার মনে হয়েছিল তখন যদি আমি দ্রুত গাড়িটা রাস্তা থেকে সরিয়ে না নিই, তাহলে আমার ডিপার্টমেন্টের বদনাম হবে। আর আমার ডিপার্টমেন্ট এই ট্রেনিংটাই দেয় মানুষের সেবা করা, বিপদগ্রস্ত মানুষকে সাহায্য করা। আমাদের কিন্তু ট্রেনিংয়ে এটাই শেখানো হয়।
যে পিক-আপটি রাস্তায় উল্টে গিয়েছিল, তার ড্রাইভার আহত হয়ে পড়েছিলেন রাস্তায়। ব্যথায় কাতরাচ্ছিলেন তিনি। তাকে ফাস্ট এইড দেয়ার কাজেও এগিয়ে গেলেন শবনম আক্তার পপি।
লোকটি বলছিল- তার পা বোধহয় ভেঙে গেছে। তখন আমি গামছা দিয়ে সেখানটা বেঁধে দিই। আহত লোকটিকে এরপর দাঁড়াতে সাহায্য করেন তিনি, হাঁটতে সাহায্য করেন। তারপর একটি গাড়িকে অনুরোধ করে লোকটিকে বাড়িতে চিকিৎসার জন্য পাঠানোর ব্যবস্থা করেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ পুলিশ সদস্যদের এখন এসব প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। তার ভাষায়, বাংলাদেশ পুলিশ এখন অনেক এগিয়ে। আমাদের ড্রাইভিং, ফাস্ট এইড- সব কিছুই শেখানো হয়।