চলে যাও আর আসার দরকার নেই!
পপি আক্তার
পহেলা মে হলো শ্রমিকদের সাথে যে বৈষম্য হয়, সেই বৈষম্যের বিরুদ্ধে চলমান আন্দোলনের বিজয় দিবস। কিন্তু আসলে আমরা সেই বিজয়ের স্বাদ নিতে পারছি না। বিগত চার দশকে ব্যাংকের লক্ষ কোটি টাকা লোপাট করে, বিদেশে পাচার করে এদেশে গার্মেন্টস নির্মাণ, লৌহজাত পণ্য উৎপাদন, সিমেন্ট, সিরামিক, ওষুধ শিল্প, স্বাস্থ্য সেবা সহ বিভিন্ন খাতে বিরাট পুঁজি বিনিয়োগ করা হয়েছে। দেশের সিংহভাগ আমাদের মত শ্রমিকরা এইসব খাতে কাজ করে। পুঁজি রমরমা হালে বাড়ছে। মধ্যবিত্তের পরিসর বাড়ছে। কিন্তু কোটি কোটি মেহনতি মানুষ তাদের জীবন ধারনের নিম্নতম আয়, সংগঠন করার নিম্নতম অধিকার থেকেও বঞ্চিত হচ্ছে। রক্ত দিয়ে জীবন দিয়ে শ্রমিক শ্রেণি যে ৮ ঘণ্টা কর্ম দিবসের দাবি নিশ্চিত করেছিল, তাও কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। আমাদের গার্মেন্টসে ১৫/১৬ ঘন্টা কাজ করা অনেকটা বাধ্যতামূলক। তা- বাঁচার তাগিদে হোক বা দ্রুত শিপমেন্ট করার জন্য হোক। আমাদের কোন বন্ধ নেই, এমনকি শুক্রবারেও অফিস করতে হয়। প্রতিবাদ করলে বলে, চলে যাও আর আসার দরকার নেই। আমরা এরকম আচরণের বিরুদ্ধে সরকারের পদক্ষেপ জানতে চাই।
পরিচিতি : পোশাক শ্রমিক / মতামত গ্রহণ : মো. এনামুল হক এনা / সম্পাদনা : মোহাম্মদ আবদুল অদুদ