শান্তির পথে যাত্রা শুরু পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের, কিন্তু পথ বড় দুর্গম
সাউথএশিয়ান মনিটর : পাকিস্তানের পশ্চিমের প্রতিবেশী আফগানিস্তানে সেই আশির দশক থেকে আজ অবধি সার্বক্ষণিক, অন্তহীন যুদ্ধ চলে আসছে। সামান্য শান্তির দেখা মিলেছে অবশ্য মাঝে মাঝে। নড়বড়ে নিরাপত্তা পরিস্থিতির কারণে শুধু আফগান নাগরিকদের জীবনমানের উন্নয়নই থমকে যায়নি বরং পাকিস্তানের উন্নয়নও ব্যাহত হয়েছে, কারণ দুই দেশের মধ্যে ২৪৩০ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে।
যদিও নব্বইয়ের দশকে সোভিয়েত ইউনিয়নের বিপক্ষে আফগান সরকারকে সহায়তা করেছে পাকিস্তান। সে সময় উপজাতীয় প্রবীণ নেতাদের আস্থা অর্জন করেছিল পাকিস্তান। কিন্তু গ্লোবাল ওয়্যার অন টেরর (জিডাব্লিউওটি) পরিস্থিতিকে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে নিয়ে গেছে। তাদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদের নানা অভিযোগ তোলা হয়েছে, যদিও সঙ্ঘাতের ময়দানে প্রথম সারিতেই রয়েছে পাকিস্তান।
দুই দেশের মানুষের ধর্ম আর সংস্কৃতি এক। একই অঞ্চলে অবস্থান দুই দেশের। কিন্তু আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির কারণে সাম্প্রতিক অতীতে সম্পর্কে টানাপড়েন তৈরি হয়েছে। ঐতিহাসিকভাবে পাকিস্তানের প্রতি প্রকাশ্যেই ঘৃণা প্রদর্শন করেছে আফগানিস্তান। যে কারণে পাকিস্তান জাতিসংঘে আফগানিস্তানকে স্বীকৃতি দেয়নি। কিন্তু, দুই দেশের মানুষ ব্যবসা ও অন্যান্য উদ্দেশে বহু দশক ধরেই সীমান্ত পারাপার করে আসছে।
পাকিস্তান ও আফগানিস্তান উভয়েই একে অন্যের প্রতি ক্রস-বর্ডার সন্ত্রাস চালানোর অভিযোগ করে থাকে। পাকিস্তানের অভিযোগ অধিক বিশ্বাসযোগ্য মনে হয় কারণ আফগানিস্তানে বহু জঙ্গি গ্রুপের অবস্থান রয়েছে। তোরখাম সীমান্ত ক্রসিং সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বহুবার বন্ধ করা এবং পুণরায় খোলা হয়েছে।২০১৭ সালে পাকিস্তানে সিন্ধুর সেহওয়ান এলাকায় লাল শাহবাজ কালান্দারের মাজারে বিস্ফোরণের পর এই সীমান্ত বন্ধ করে দেয়া হয়।
পরে অবশ্য আবার এটা খুলে দেয়া হয়েছে। গত বছর বেশ কয়েক দফা সীমান্ত বন্ধ ও খোলা হয়েছে। অবশ্য ২০১৮ সালের শুরু থেকেই দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা কমে আসার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। সম্পাদনা : ইমরুল শাহেদ