তাহসিনুল ইসলাম প্রিন্স
কোটা পদ্ধতি অবশ্যই মেধা বিকাশের অন্তরায়। কেননা, জন্ম থেকেই একটি সন্তান যখন জানতে পারে-তার জন্য একটি কোটা সংরক্ষিত আছে; তার জন্য দু’বছর বয়স বেশি থাকবে; কোনো রকম পাস করতে পারলেই চাকরি নিশ্চিত। এমতাবস্থায় একজন ছাত্রের মেধার স্বাভাবিক বিকাশ কখনোই ঘটতে পারে না বলেই ধরে নেওয়া যায়। আমরা প্রত্যেক শিক্ষার্থীর মেধার স্বাভাবিক বিকাশের উন্মুক্ত পথ চাই। তা ছাড়া ৫৬ শতাংশ কোটা তরুণদের স্বপ্নভঙ্গের জন্য যথেষ্ট। আর অনেক কোটাধারীরা স্বল্প মেধাবী হয়েও সরকারি চাকরির বাজারে সবার চেয়ে এগিয়ে! আর একজন মানুষ নাগরিকের সকল দায়িত্ব পালন করে মেধা বিকাশে স্বাক্ষর রেখেও নাগরিক অধিকার লাভ করতে পারবে না। এটা সংবিধান বিরোধী। সংবিধানের তৃতীয় ভাগের ২৯ (১) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিয়োগ বা পদ-লাভের ক্ষেত্রে সকল নাগরিকের জন্য সুযোগের সমতা থাকিবে। এই অনুচ্ছেদের ২৯ এর (৩) এর (ক) তে বলা হয়েছে, নাগরিকদের যে কোন অনগ্রসর অংশ যাহাতে প্রজাতন্ত্রের কর্মে উপযুক্ত প্রতিনিধিত্ব লাভ করিতে পারেন, সেই উদ্দেশ্যে তাঁহাদের অনুকূলে বিশেষ বিধান-প্রণয়ন করা হইতে, রাষ্ট্রকে নিবৃত্ত করিবে না। সাধারন শিক্ষার্থী ও চাকুরি প্রার্থী অধিকাংশই নিয়োগে বিদ্যমান কোটাব্যবস্থার সংস্কার চাই। সুতরাং কোটা সংস্কার সময়ের দাবি, যদি এ দাবিকে উপেক্ষা করা হয় তাহলে বেকার সমস্যা বরাবরের মত বেড়েই চলবে। আর এ সমস্যা থেকেই সৃষ্টি হয় হতাশা এবং আত্মহত্যার মত ঘটনা । তাই আমরা এগিয়ে যাবার অন্তরায় বর্তমানে এই কোটা সংস্কার চাই।
পরিচিতি : শিক্ষার্থী, সরকারি তিতুমীর কলেজ / মতামত গ্রহণ : তাওসিফ মাইমুন / সম্পাদনা : মো. এনামুল হক এনা