রাজীবের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আদেশ স্থগিত
নাঈমা জাবীণ: রাজধানীতে দুই বাসের চাপায় হাত হারানো ও চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়া তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থী রাজীব হোসেনের পরিবারকে এক কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগ। একইসঙ্গে এ ঘটনায় দোষীদের চিহ্নিত করতে একটি স্বাধীন নিরপেক্ষ কমিটি গঠনে হাইকোর্টের প্রতি নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ওই কমিটিকে দায়ীদের চিহ্নিত করা এবং তাদের দায় নির্ধারণের মাধ্যমে আগামী ৩০ জুনের মধ্যে একটি প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। ওই প্রতিবেদনের আলোকে রাজীবের দুই ভাইকে হাইকোর্ট কর্তৃক ক্ষতিপূরণ দিতে নির্দেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশন (বিআরটিসি) ও স্বজন পরিবহনের আপিলের শুনানি শেষে মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে বিআরটিসি’র পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট এবিএম বায়েজীদ। সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার মুনীরুজ্জামান। স্বজন পরিবহনের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মতিন খসরু। আর রাজীবের পরিবারের পক্ষে ছিলেন রিটকারী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল।
গত ১৩ মে রাজীবের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে চেম্বার আদালতে আপিল করেন বিআরটিসি। ১৭ ও ২১ মে এ বিষয়ে শুনানি হয়। আজ এ বিষয়ে আদেশের ধার্য ছিল। সোমবার ব্যারিস্টার মুনীরুজ্জামান বলেন, হাইকোর্ট থেকে ক্ষতিপূরণ দিতে অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ দেওয়া হয়েছে। সে আদেশে আমাদের (বিটিআরসি) ২৫ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে বলা হয়। কিন্তু কার কতটুকু দায় তা পরিমাপ না করে কিংবা তদন্ত না করে ক্ষতিপূরণের এ আদেশ দেওয়া হয়েছে। এ ধরনের ঘটনায় ক্ষতিপূরণ পাওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালে আবেদন করতে হয়। বিআরটিসি সরকারের টাকায় চলে। তারা কীভাবে ক্ষতিপূরণ দেবে?
গত ৮ মে রাজীবের দুই ভাইকে এক কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ দেন আদালত।
প্রসঙ্গত, গত ৩ এপ্রিল দুই বাসচালকের রেষারেষিতে হাত হারান রাজীব। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৬ এপ্রিল তিনি মারা যান। এ ঘটনা নিয়ে সংবাদ প্রকাশের পর গত ৪ এপ্রিল রিট আবেদন করেন আইনজীবী রুহুল কুদ্দুস কাজল।