১০ লাখ বিদেশি কর্মি বাংলাদেশ থেকে রেমিটেন্স পাঠায় ৪৪ হাজার কোটি টাকা
বিশ্বজিৎ দত্ত: বাংলাদেশ থেকে প্রতি বছর ৪৪ হাজার কোটি টাকা (৫শ কোটি ডলারের বেশি) বিদেশিরা তাদের দেশে রেমিটেন্স পাঠাচ্ছেন। অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়। গোপন এ প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশ থেকে প্রতি বছর বিদেশি কর্মীরা ৫শ’ কোটি ডলার তাদের দেশে পাঠাচ্ছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশের শ্রম শক্তিতে দক্ষতার অভাব রয়েছে, আর সেই দক্ষতার অভাব পূরণ করা হচ্ছে বিদেশিদের দিয়ে। প্রতিবেদনে শ্রমিক নেতাদের সূত্রে বলা হয়েছে, সব থেকে বেশি বিদেশি কর্মী কাজ করেন পোশাক খাতে। গার্মেন্ট,কম্পোজিট টেক্সটাইল মিল, ওভেন ও নিটওয়্যার ইন্ডাস্ট্রি, সোয়েটার ফ্যাক্টরি, বায়িং হাউস, মার্চেন্ডাইজিং কোম্পানি মিলিয়ে প্রায় ১০ লাখ বিদেশি কাজ করেন এদেশে। বিভিন্ন বহুজাতিক কোম্পানি, বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্র, আন্তর্জাতিক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান, ফ্যাশন হাউস, খাদ্য উৎপাদন ও বিপণনকারী প্রতিষ্ঠান, মোবাইল ফোন কোম্পানি, পোল্ট্রি খাদ্য উৎপাদক প্রতিষ্ঠান, চামড়াজাত প্রতিষ্ঠান, বহুজাতিক তেল-গ্যাস কোম্পানি, মিডিয়া রিসার্চ প্রতিষ্ঠান ও বিজ্ঞাপনি সংস্থাসহ বিদেশিরা কাজ করছেন সাধারণ ফার্নিচারের দোকানেও।
অর্থমন্ত্রণালয়ের এ প্রতিবেদনটি প্রস্তুত করা হয়েছিল ২০১৭ সালে। এর আগে বিশ্বব্যাংকের বিশেষজ্ঞদের মতামতের ভিত্তিতে পিউরিসার্চ সেন্টার জানায়, ২০১৬ সালে বিদেশিরা কাজ করে বাংলাদেশ থেকে বৈধ পথে ২০১ কোটি ৩০ লাখ ডলার নিয়ে গেছে। চীন, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, ভিয়েতনাম, নেপাল, থাইল্যান্ড, জাপান, নরওয়ে ও যুক্তরাজ্যে এ অর্থ গেছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের হিসাবে দেশে ১ থেকে সোয়া লাখ বিদেশি কাজ করেন। তবে এ হিসাবের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করে গবেষণা সংস্থা সিপিডি। তাদের হিসাবে, প্রায় পাঁচ লাখ ভারতীয় নাগরিক বাংলাদেশে কাজ করেন। তারা তাদের দেশে এক বছরে পাঠিয়েছেন ৩ দশমিক ৭৬ বিলিয়ন ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকার সমান। বাংলাদেশ ভারতে পঞ্চম রেমিট্যান্স প্রেরণকারী দেশ হিসেবে বিবেচিত।