ইসরায়েলি সেনাদের গুলিতে ফিলিস্তিনি নার্স নিহত
বণিকবার্তা: গাজা সীমান্ত বিক্ষোভে আহত এক বিক্ষোভকারীকে সেবা প্রদানকারী এক ফিলিস্তিনি নার্সকে গুলি করে হত্যা করেছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। গাজার স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ও এক সাক্ষীর বরাতে রাজন আল নাজর নামে ওই ফিলিস্তিনি নার্সের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছে। খবর রয়টার্স। নাজরের মৃত্যুর ফলে ৩০ মার্চ শুরু হওয়া বিক্ষোভে নিহতের সংখ্যা ১১৯-এ দাঁড়িয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীর বরাতে জানা যায়, গাজার সীমান্তবেষ্টনীর কাছে আহত এক বিক্ষোভকারীকে সহায়তার উদ্দেশে এগিয়ে গেলে গুলিবিদ্ধ হন ২১ বছর বয়সী স্বেচ্ছাসেবী নার্স। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রত্যক্ষদর্শী বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, সাদা ইউনিফর্ম পরিহিত নাজর হাত উপরে তুলে আহত ফিলিস্তিনির দিকে এগোচ্ছিলেন। কিন্তু ইসরায়েলি সেনারা গুলি ছুড়লে বুকে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান তিনি। খান ইউনিসে নিহত নাজরের বাড়িতে তার মায়ের কাছে তার রক্তাক্ত ইউনিফর্ম হস্তান্তর করলে তিনি শোকে মূর্ছা যান।
ইসরায়েলি সেনা মুখপাত্রের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। ইসরায়েলি কর্মকর্তারা এর আগে জানিয়েছিলেন, ইসরায়েলি স্নাইপাররা শুধু তাদেরই গুলি করে, যারা হুমকি হিসেবে দেখা দেয়।
গাজার স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, শুক্রবারের গণবিক্ষোভে ইসরায়েলি সেনাদের গুলিতে অন্তত ১০০ জন আহত হয়েছে। ইসরায়েল সেনাবাহিনী পৃথক একটি বিবৃতিতে জানায়, পাঁচটি অবস্থান থেকে ‘হাজার হাজার দাঙ্গাকারীকে’ ছত্রভঙ্গ করতে গুলি ছুড়েছে তাদের সেনারা।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, ‘আইডিএফের (ইসরায়েল ডিফেন্স ফোর্সেস) একটি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয় এবং সন্দেহভাজন উত্তর গাজা সীমান্তের নিরাপত্তাবেষ্টনীতে গ্রেনেড বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।’