এবারের বিশ্বকাপে হাসবে স্পেন
স্পোর্টস ডেস্ক: ২০১৪ বিশ্বকাপে যারা গ্রুপপর্ব থেকেই বিদায় নিয়েছিল, যারা ২০১৬ ইউরোতে ব্যর্থ হয়েছিল, তারা ফিরে এসেছে। তারা আবার হাসছে। গত এক বছরে স্পেনের রেকর্ড দেখে মনে হচ্ছে, আসন্ন রাশিয়া বিশ্বকাপে টিকিটাকার ধ্বংসাবশেষ যাচ্ছে না। বরং যাচ্ছে সেই দেশ, যারা ২০০৮ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে একটি বিশ্বকাপ ও টানা দুটি ইউরো জিতেছিল। প্রায় অকোজো হয়ে পড়া স্প্যানিশ ব্রিগেডকে ফের সক্রিয় করে তোলার নেপথ্যে তাদের নতুন গুরু হলেন লোপেতেগুই। ২০১৬ ইউরোর পর যিনি ভিসেন্তে দেল বস্কের জায়াগায় স্পেনে কোচের দায়িত্ব পান। চমকে ওঠার মতো ব্যাপার হচ্ছে, মূলত পুরনো সৈনিকদের নিয়েই স্পেনকে ফের শক্তিশালী করে তুলেছেন লোপেতেগুই। যাদের যুগ শেষ হয়ে গেছে বলে মনে করা হচ্ছিল, তাদেরই ফের চনমনে যোদ্ধায় পরিণত করেছেন নতুন কোচ। ডেভিড ডি গিয়া, জেরার্ড পিকে, সার্জিও রামোস, জর্ডি আলবা, বুসকেটস, আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা, ডেভিড সিলভা। ২০১৬ ইউরোতে ইতালির কাছে হেরে শেষ ষোলো থেকে বিদায় নেয়া স্পেন দলের সাতজন থাকছেন রাশিয়াতে। ধরে নেয়া যায়, রাশিয়া বিশ্বকাপে স্পেনের প্রথম একাদশে এই সাতজনই থাকবেন। বাকি জায়গাগুলো নেবেন কোকে, থিয়াগো আলাকান্তারা (না খেলালেও দু’জনই ২০১৬ ইউরোর স্কোয়াডে ছিলেন) দানি কারভাহাল (চোট থাকায় খেলেননি), ইসকো ও ডিয়েগো কস্তা। কাগজে-কলমে অন্তত স্বর্ণযুগের স্পেন দলের মতোই শক্তিশালী দেখাচ্ছে। পিকে, রামোস, ইনিয়েস্তা এবং ডেভিড সিলভা থাকায় পুরনো সেই সোনার প্রজন্মের ছোঁয়া ভালো মতোই থেকে যাচ্ছে। ফুটবলপ্রেমীদের জন্য আরও সুখবর হচ্ছে, টিকিটাকার সেই জাদুকরী ভঙ্গি ধরে রেখেই এক বছর ধরে সাফল্য পেয়েছে এই স্পেন দল। এজন্যই রাশিয়ায় ইনিয়েস্তাদের ফুটবলে ফের মুগ্ধ হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন অনেকে। স্প্যানিশ ফুটবলের ঐতিহ্য মেনে লোপেতেগুইয়ের দর্শনেও শেষ কথা সেই বল। টিকিটাকার প্রধান মন্ত্র- বল রাখো নিজের কাছে আর হারালেই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নিজের দখলে ফিরিয়ে আনো। মিডফিল্ড ফের ঝকমক করলেও স্পেনের চিন্তার জায়গা হচ্ছে আক্রমণভাগ। স্পেন সবচেয়ে বেশি সফল হয়েছিল ‘ফলস নাইন’ এ খেলে। যে রণকৌশলে ফরোয়ার্ড লুকিয়ে থাকবে মিডফিল্ডারদের মধ্যে। ফ্যাব্রিগাসকে এই ভূমিকাতেই ব্যবহার করতেন দেল বস্ক। এখন মার্কো আসেনসিওকেও সেভাবেই খেলানোর চেষ্টা হচ্ছে। কস্তা একনম্বর স্ট্রাইকার হলেও পাসিং ফুটবলের রণনীতিতে তিনি কতটা সফল হতে পারবেন, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। কস্তার ফুটবল শক্তিনির্ভর। স্পেনের ফুটবল শিল্পময়। মিলের চেয়ে অমিলই বেশি। -গোল ডটকম