ট্রেনের যাত্রীদের হুড়াহুড়িতে সমস্যায় নারী ও শিশুরা
আহমেদ ইসমাম: হাতের ঘড়িতে তখন সকাল ৯টা ২০ মিনিট। কমলাপুরের রেল স্টেশনের ৫ নং লাইনে দিনাজপুর থেকে ছেড়ে আসা একতা এক্সপ্রেস ট্রেনটি দারাতেই সকলে উঠার জন্য হুড়াহুড়ি করছে। এর ফলে নারী ও শিশুরা সবচেয়ে বেশী সমস্যায় পরছে। পুরুষ যাত্রীরা তাদের শক্তির জোরে আগে উঠে গেলেও নারী ও শিশুরা উঠতে পারছে না। মেহেরুন নেসা যাবেন ফুলবাড়ি। তিনি বলেন, আমার সাথে দুটি বাচ্চা ও তিনটি ব্যাগ আছে, বাচ্চাদের বাবা রাত জেগে টিকেট কাটলেও অফিসের কাজের চাপের কারণে আজ সে আমাদের ট্রেনে তুলে দিতে আসতে পারে নাই। এভাবে হুড়াহুড়ি করে ট্রেনে উঠা কি করে সম্ভব? হাতে টিকেট থাকার পরেও নিজ আসনে যেতে পারছি না। টিকিট ছাড়া যাত্রীরা এখন রাস্তায় দাড়িয়ে আছে। এমন চিত্র প্রায় সব ট্রেনে দেখা গেছে, যারা রাত জেগে দাড়িয়ে থেকে টিকেট কেটেছে, তারা তাদের আসনে যেতেই পারছেন না। প্রায় প্রতিটি বগিতেই অসংখ্য টিকেট বিহিন যাত্রী আছে। তারা কিছু মানুষকে ম্যানেজ করে সারা রাস্তা ভ্রমন করে বলে একটি সূত্রে জানা গেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিনা টিকিটে ভ্রমন করা এক যাত্রী বলেন, যারা রাত জেগে লাইনে দারিয়ে টিকেট কাটে তাদের মত বোকা আর কেউ নাই। তারা যে ৮-৯ ঘন্টা লইনে দারিয়ে থাকে এ সময়টা তো তারা ট্রেনেই দারিয়ে থাকতে পারে।
গত ২ জুনে যারা টিকিট সংগ্রহ করেছিলেন তারাই গতকাল কমলাপুর রেল স্টেশন থেকে ঢাকা ছেড়েছে। সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত ঘরমুখো হাজারও মানুষ নিয়ে কমলাপুর ছেড়ে গেছে ট্রেনগুলো। সব মিলিয়ে ঈদ যাত্রার দ্বিতীয় দিনেও রয়েছে ঘরমুখ মানুষের ভিড়। তবে আজ থেকে ঘরে ফেরা মানুষের ভিড় আরও বাড়বে বলে ধারণা করছেন স্টেশন সংশ্লিষ্টরা।
এদিকে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন সূত্রে জানা গেছে, কমলাপুর স্টেশন থেকে গতকাল দেশের বিভিন্ন স্থানে মোট ৬৩টি ট্রেন ছেড়ে গেছে। কমলাপুর স্টেশন ম্যানেজার সিতাংশু চক্রবর্তী ঈদ যাত্রা বিষয়ে বলেন, সব ট্রেন সময়মতই ছেড়ে যাচ্ছে। যাত্রীর চাপ মোকাবেলায় প্রায় ট্রেনেই অতিরিক্ত বগি লাগানো হয়েছে। এছাড়া বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা রয়েছে।
একই সঙ্গে যাত্রীরা যেন নিজেদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে ট্রেনের ছাদে যাত্রা না করেন সে বিষয়ে অনুরোধ করেন তিনি।