জনপ্রিয় খেজুরের রসের পায়েস তবে…
মতিনুজ্জামান মিটু: দেশব্যাপি জনপ্রিয় খেজুরের রসের পায়েস। তবে বাদুরের উপদ্রব ও গাছ কাটার লোকের অভাবসহ নানা প্রতিকুলতায় দেশের মানুষের সে সাধ এখন বেশির ভাগ মানুষের কাছে অধরাই থেকে যাচ্ছে। অন্যদিকে আরবের খেজুর বাজার দখলে নিয়েছে। আগের মতো দেখা যায়না স্থানীয় জাতের খেজুর। অথচ দেশে প্রতি বছর প্রায় সাড়ে নয় হাজার হেক্টর জমির গাছে প্রায় সাড়ে ৬১ হাজার মেট্রিক টন স্থানীয় জাতের খেজুর উৎপাদন হয়ে থাকে। বর্তমানে আরবের খেজুরের জাত কিভাবে এদেশে উৎপাদন করা যায় তা নিয়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হর্টিকালচার উইংসহ কৃষি সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি নানা উদ্যোগ ও কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। এ ক্ষেত্রে স্থানীয় খেজুরের জাত উন্নয়নে তেমন কোনো কার্যক্রম দেখা যাচ্ছে না। স্থানীয় জাতের খেজুরের কথা এক রকম ভুলতেই বসেছে দেশের মানুষ। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের বছরব্যাপী ফল উৎপাদনের মাধ্যমে পুষ্টি উন্নয়ন প্রকল্পের উপ প্রকল্প পরিচালক কৃষিবিদ মো. নুরুল ইসলাম বলেন, খেজুর মূলত ফল হিসেবে ব্যবহৃত হয়। অনেকে খেজুরের বীচি সুপারির মতো খালি বা পানের সঙ্গে খায়। খেজুরের রস ক্রিমি নাশক হিসেবে পরিচিত। তাই সাধারণত সকালে খালি পেটে পান করা হয়। খেজুর হৃদরোগ, জ্বও, ও পেটের পীড়ায় উপকারি ও বলবর্ধক। কম্পজ্বর নিরাময়ে বীজের গুড়া ব্যবহার করা হয়। কান্ড থেকে নির্গত আঠা পাতলা পায়খানা ও প্রসাবের পীড়া উপশম করে। সব জেলাতেই পাওয়া গেলেও যশোর, কুষ্টিয়া, ফরিদপুর এবং খুলনা জেলায় সর্বাধিক পাওয়া যায়। কৃষি তথ্য সার্ভিসের টেকনিক্যাল পার্টিসিপেন্ট নাহিদ বিন রফিক জানান, আরবের খেজুরের চাহিদা বাড়লেও স্থানীয় জাতের খেজুরের যথেষ্ট কদর রয়েছে। পরীক্ষা নিরিক্ষা চললেও এখনো এদেশে আরবের খেজুর গাছ উৎপন্ন করার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য সাফল্য আসেনি। তাই স্থানীয় জাতের খেজুর নিয়ে ভাবার যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে।