সরকারকে বেকায়দায় ফেলার চেষ্টায় জোট বাঁধছে ২২ জঙ্গি সংগঠন
ইসমাঈল হুসাইন ইমু: জেএমবির সদস্যসহ জঙ্গিরা কারাগার থেকে জামিনে বেরিয়ে ২২ জঙ্গি সংগটনের সদস্যরা জোট বাঁধছে। ইতিমধ্যে কয়েকদফা বৈঠকও করেছে তারা। সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে এই চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে একটি সূত্র জানিয়েছে।
জানা গেছে, জেএমবি থেকে নব্য জেএমবি, আনসারুল্লাহ বাংলাভাই, জয়শ-ই মোহাম্মদ, আল্লার দল, হিযবুল মুজাহিদিন, কালেমা-ই-জামাত, আনছারুল্লাহ বাংলা টিম ও হিযবুল মাহাদী, দাওয়াতে ইসলাম, আল হারাত আল ইসলামিয়া, জামায়াতুল ফালাইয়া, তাওহিদী জনতা, শাহাদাত-ই-নবুওয়াত, জামায়াত-ই-ইয়াহিয়া আল তুরাত, জইশে মোস্তফা বাংলাদেশ, আল-জিহাদ বাংলাদেশ, জামায়াত-আল-সাদাত, হরকত-এ ইসলাম আল জিহাদ, আল ইসলাম মার্টায়ারস ব্রিগেড, লস্কর-ই-তৈয়্যবা, হরকাতুল মুজাহিদীনসহ একাধিক জঙ্গি সংগঠনের সদস্যরা সরকারকে বেকায়দায় ফেলার ছক আঁকছে। তবে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কড়া নজরদারির কারণে প্রকাশ্যে আসতে পারছে না তারা।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালে জঙ্গিবিরোধী ১৮টি অভিযানে চার শিশু ও পাঁচ নারীসহ ৩৮ জঙ্গি নিহত হয়। ওই সময় গ্রেফতার হয় দুই শতাধিক জঙ্গি। ২০১৭ সালের মার্চে ৬টি বড় ধরনের জঙ্গি আস্তানায় অভিযান চালায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এর মধ্যে সিলেটে ৩টি, চট্টগ্রামে ২টি ও কুমিল্লায় একটি। এই ছয়টি অভিযানে নিহত হয় ১৮ জঙ্গি।
অপরদিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর ও শিবগঞ্জ উপজেলায় অভিযান চালিয়ে জঙ্গি সংগঠন জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ (জেএমবি)-এর ৩ সক্রিয় সদ্যকে আটক করেছে র্যাব। গত মঙ্গলবার ভোরে র্যাব-৫-এর একটি দল তাদের আটক করে। আটকরা হলেন, জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার চাকলা মিয়াপাড়ার মৃত আব্দুল গফুরের ছেলে রহমত আলী (৪৭), পার একলামপুর বিশ্বাস পাড়ার মফিজ উদ্দিনের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম (৪৩) ও চাকলা কামারটেকপাড়ার হযরত আলীর ছেলে মোয়াজ্জেম হোসেন (৩০)।
র্যাব-৫ সূত্র জানায়, মঙ্গলবার ভোরে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার সদর উপজেলার দুর্গাপুর পূর্বপাড়ায় অভিযান চালিয়ে জেএমবির সদস্য রহমত আলীকে আটক করে র্যাব। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে জেএমবি সদস্য জাহাঙ্গীর আলম ও মোয়াজ্জেম হোসেনকে আটক করা হয়। তাদের কাছ থেকে কয়েকটি জিহাদী বই, পাসপোর্ট উদ্ধার করা হয়। এছাড়া গত ১৩ মার্চ নাটোরের দিঘাপতিয়ার একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে জঙ্গি সন্দেহে চারজনকে আটক করেছে পুলিশ। আটকদের কাছ থেকে ৫টি ককটেল, ল্যাপটপ, তিনটি ছোরা ও জিহাদি বই উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ জানায়, দিঘাপতিয়া উত্তরা গণভবনের পেছনের এলাকায় দুটি বাড়িতে কিছু অপরিচিত লোকের আনাগোনা লক্ষ করা যায়। পরে বিপুলসংখ্যক পুলিশ বাড়ি দুটি ঘিরে রাখে। রাতের অন্ধকারে বাড়িতে অভিযান না চালিয়ে দিনের আলোর অপেক্ষায় থাকে পুলিশ। পরে পুলিশের আহ্বানে মঙ্গলবার সকালে ইকবালের বাড়ি থেকে চারজন আত্মসমর্পণ করেন। পরে বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে ৫টি ককটেল, ল্যাপটপ, মোটরসাইকেল, ৩টি ছোরা ও বেশকিছু জিহাদি বই উদ্ধার করা হয়। সম্পাদনা: আনিস রহমান