অপরিকল্পিত নগরায়নে কমে যাচ্ছে আবাদি জমি
উজ্জল মাহমুদ, লোহাগড়া (নড়াইল) : কৃষি প্রধান নড়াইলের লোহাগড়ায় উপজেলায় কমতে শুরু করেছে আবাদি জমি। আবাদি জমির মধ্যে নির্মাণ করা হচ্ছে ইটভাটা, অপরিকল্পিত রাস্তা-ঘাট, বাড়ি-ঘরসহ বিভিন্ন বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান ও নানা স্থাপনা। ফলে আবাদি জমির কৃষি পণ্য উৎপাদনে দেখা দিয়েছে বিপর্যয়। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, ২০১১ সালে এ অঞ্চলে আবাদযোগ্য কৃষি জমির পরিমাণ ছিল ২৫ হাজার ১’শ ৩৪ হেক্টর, যা ৫ বছরের ব্যবধানে কমে দাঁড়িয়েছে ২২ হাজার ২’শ ১ হেক্টর। অন্যদিকে পাঁচ বছর আগে এক ফসলি জমির পরিমাণ ছিল ৩ হাজার ৯৪৩ হেক্টর, যা কমে দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৪৬৫ হেক্টর।
সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, অপরিকল্পিতভাবে নগরায়ন, বসতি ও কল-কারখানা, ইট ভাটা তৈরি এবং কৃষি জমি সুরক্ষা আইন না থাকায় কৃষি জমি ভরাট হচ্ছে। সে সঙ্গে বাড়ছে ইচ্ছামত জমির ব্যবহারও। ফলে পাঁচ বছর আগে ফসলি জমির পরিমান ছিল ২২ হাজার ৪৩৮ হেক্টর, যা কমে দাঁড়িয়েছে ২১ হাজার ৯৬০ হেক্টর। এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সমরেন বিশ্বাস বলেন, জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারনে প্রতিনিয়ত অপরিকল্পিত ভাবে কৃষি জমিতে বাড়ি ঘর নির্মাণ হচ্ছে।
এ ছাড়া নদি ভাঙন, কৃষি জমিতে ইটভাটা তৈরিসহ বিভিন্ন অকৃষিস্থাপনার ফলে প্রতিবছর এক শতাংশ করে কৃষি জমি কমছে। তিনি আরও বলেন, বিচ্ছিন্নভাবে বাড়ি নির্মণ না করে গ্রামগুলোকে ছোট ছোট শহরে পরিণত করতে হবে। বহুতল ভবনে একাধিক পরিবারের আবাসন ব্যবস্থা করা জরুরী। তাহলে কৃষি জমি অকৃষি খাতে চলে যাওয়ার প্রবণতা কিছুটা হলেও কমবে। সম্পাদনা : তারেক