বকশীগঞ্জে খড়ায় পুড়ছে রোপা আমন ধান
শরিফুল ইসলাম ঝোকন, জামালপুর : বন্যা পরবর্তী সারাদেশের মতো জামালপুরের বকশীগঞ্জেও চলছে প্রচ- খড়তাপ প্রবাহ। দীর্ঘ খরায় পুড়ছে জেলার রোপা ্আমনের ফসলি জমি। মাঠ ফেটে চৌচির, নিচু এলাকা ছাড়া কোথাও নেই একটু পানির সংস্থান। খড়ায় পুড়ছে রোপা আমন ধান। পানির অভাবে অনেক জমিতে আমন ধানের চারা রোপণ করতে পারেনি অনেক কৃষক। তাই এবার তাদের অনেক জমি পতিত রয়েছে। ফলে কৃষি মন্ত্রণালয়সহ অর্জনযোগ্য কৃষকের লক্ষমাত্রা পূরণ না হওয়ার আশংকা সর্বত্র।
চলতি বর্ষা মৌসুমের শ্রাবণ মাসের প্রথম দিকে পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত হয়। ফলে কৃষকেরা মনের আনন্দে উঁচু নিচু জমি রোপণ শুরু করে। কিন্তু শ্রাবণের ভরা মৌসুমে স্মরণকালের খড়া চলছে জেলার সর্বত্র। কৃষকেরা প্রথমে নিচু জমিগুলো রোপণ করেছে। এর পর নিচু জমি। এখন আবার নিচু জমিগুলোতে পর্যাপ্ত পানি থাকলেও উঁচু জমিতে রোপণকৃত আমন আবাদ খড়ায় পুড়ছে। উচু জমির সংখ্যা বেশি হওয়ায় সেই জমির কৃষকেরা পড়েছে মহা বিপদে। যদিও কোন কোন এলাকায় শ্যালো/ ডিপ মেশিন দিয়ে পানি দেয়া হচ্ছে তবে অনেক এলাকার কৃষকের সামর্থ্যরে কারণে তা সম্ভব হচ্ছেনা। এসব এলাকায় ফসলের মাঠ ফেটে যাচ্ছে। গত প্রায় ২সপ্তাহ ধরে একটানা খরার ফলে অধিকাংশ উঁচু জমিতে পানি নেই। বকশীগঞ্জের অনেক এলাকা ঘুরে কুষকদের সাথে কথা বলে জানাগেছে, ভরা বর্ষা-শ্রাবণ মাসে এমন খরা তারা কখনও দেখেনি।
জামালপুর জেলার বকশীগঞ্জ উপজেলার বাট্রাজোড় ইউনিয়নের বাট্রাজোড় পূর্বপাড়া গ্রামের আ. হাই জানান, যদি এক সপ্তাহের মধ্যে পর্যাপ্ত পরিমাণ বৃষ্টি না হয় তাহলে লাগানো আমন ক্ষেত নষ্ট হয়ে যাবে। বকশীগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আ. হামিদ জানান, এবার বকশীগঞ্জ উপজেলায় ১২ শ ৩৬ হেক্টর জমিতে আমন ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।দক্ষেপ পারবে এই আসন্ন ক্ষতির মুখ থেকে কৃষককে বাঁচাতে। সম্পাদনা : তারেক