লিহান লিমা: সদ্য হাসপাতাল থেকে ছুটি মিলিছে থাইল্যান্ডের থাম লুয়াং গুহায় আটকা পড়া ‘ওয়াইল্ডবোয়ার’ ফুটবল দল ও তাদের কোচের। বাড়ি ফেরার প্রথমদিনই তাদের উদ্ধারকৃত দলের প্রতিটি সদস্যের জন্য বৌদ্ধমন্দিরে প্রার্থনা করেন তারা। ফুটবল দলের ১১জন বালক, তাদের কোচ ও পরিবারের সদস্যরা দেশটির ‘ওত প্রা থাই দোই ওয়াও’ মন্দিরে প্রার্থনা করেন। তবে মিয়ানমার থেকে এসে থাইল্যান্ডে আশ্রয় নেয়া ১৪ বছরের কিশোর আদুল সারগোন মুসলিম হওয়ায় মন্দিরের অনুষ্ঠানে অংশ নেন নি। বৌদ্ধমূর্তির পাশাপাশি প্রতিটি ডুবুরির ছবি রেখে প্রার্থনা করেন তারা। যেখানে ছিলেন থাই নেভি সিলের সাবেক ডুবুরি সামান কুনানও। বালকদের উদ্ধারে অংশ নিয়ে তাদের অক্সিজেন বোতল দিয়ে ফিরে আসার পথে নিজেই অক্সিজেনের অভাবে প্রাণ হারান এই স্বেচ্ছাসেবী।
মন্দিরে আসার আগে বুধবার হাসপাতাল ছাড়া পেয়ে ফুটবল টিম উইল্ডবোর দলের ১২ সদস্য ও কোচ সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন। ১২ জন কিশোর প্রথমবারের মত জনসম্মুখে জানায়, ব্রিটিশ ডুবুরিরা যখন তাদের খুঁজে পান তখন এই ঘটনাকে বিশ্বাসই করতে পারেননি তারা। আদুল সারগন বলেন, ‘এটা অলৌকিক’। একজন বলেন, ‘এই অভিজ্ঞতা আমাকে ধৈর্যশীল ও স্থির থাকার শিক্ষা দিয়েছে’। আরেক বালক প্রতিশ্রুতি দেন ‘আমি সারা জীবন সতর্কতার সঙ্গে পথ চলব।’
এই সময় স্যামন কুনানের প্রতি ও উদ্ধারকারীদের সম্মান জানাতে এই কিশোরদের কয়েকজন ভবিষ্যতে নেভি সিলের সদস্য হওয়ার অঙ্গীকার করেছেন। এই কিশোরা কয়েকদিন বৌদ্ধ ভিক্ষুর জীবন কাটাবেন। থাই রীতি অনুযায়ী ছেলেরা কোন বিপদ কাটিয়ে ওঠার পর এই আচার পালন করে থাকে। ডেইলি মেইল