নিরপেক্ষ নির্বাচনের ৪ শর্ত – ড. এমাজউদ্দীন আহমদ
শিমুল মাহমুদ: আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন চার শর্তে নিরপেক্ষ হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ^দ্যিালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমাজউদ্দীন আহমদ। তিনি বলেন, বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া মুক্তিসহ সারাদেশের ২০ লাখ নেতা-কর্মীর ৭৮ হাজার মামলা প্রত্যাহার, নির্বাচনের তফসিলের আগে চলমান জাতীয় সংসদ ভেঙ্গে দিতে হবে, প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতি সমন্বয়ে নির্বাচনকালীন সরকার গঠন, বিএনপিকে পররাষ্ট্র ও স্বরাষ্টমন্ত্রণালয়সহ ৩-৫টি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দিতে হবে। যাতে তারা সঠিকভাবে নির্বাচনের জন্য কাজ করতে পারে।
গতকাল শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে মুন্সীগঞ্জ জেলা জাতীয়তাবাদী ফোরাম কতৃক আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ড. এমাজউদ্দীন. গণতন্ত্রের প্রথম শর্ত হচ্ছে নির্বাচন। গণতন্ত্রের স্বার্থে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তবে এই নির্বাচনের জন্য সরকারকে চারটি শর্তে পূরণ করতে হবে। সাবেক এই উপাচার্য বলেন, ১৯৯১ সালে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে আন্দোলন করে গণতন্ত্রকে ফিরে আনলেও ২০০৭ এবং ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারীতে হত্যা করা হয়েছে। আবারও নিহত গণতন্ত্রকে খালেদা জিয়াই পুনরুদ্ধার করবেন।
আলোচনা সভায় গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরউল্লাহ চৌধুরী বলেন, খালেদা জিয়াকে নিয়েই আগামী নির্বাচন হবে। তার মুক্তির জন্য আইনি সহায়তার পাশাপাশি শুক্রবার সমাবেশ করে যে শক্তি দেখিয়েছে বিএনপি। নিয়মতান্ত্রিকভাবে সেই আন্দোলন করে রাজপথে থেকে সেই শক্তি দেখাতে হবে। সংগঠনের সভাপতি এসএম জাহাঙ্গীরের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ, বিএনপির বিশেষ সম্পাদক আসাদুজ্জামান রিপন প্রমুখ।