মাহমুদুল আলম : আপিল বিভাগের দেয়া জরিমানার রায়ে একমত পোষণ করলেও দুই মন্ত্রী শপথ ভঙ্গ করেছেন- সংখ্যা গরিষ্ঠ পাঁচ বিচারপতির এই অভিমতের সঙ্গে একমত হননি বেঞ্চের অপর তিন বিচারপতি। এই তিন বিচারপতি হলেন, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ও বিচারপতি মো. নিজামুল হক। ভিন্ন মত দেয়া এই রায় লিখেছেন বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। আর অন্য দুই বিচারপতি তার সঙ্গে একমত পোষণ করেন।
৫৪ পৃষ্ঠায় লেখা পূর্ণাঙ্গ রায়ের ৪৬ নম্বর পৃষ্ঠায় বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী লিখেছেন, ‘আমি আমার ভাই মোহাম্মদ ইমান আলীর রায় পড়েছি। অবমাননাকারীদের দোষী সাব্যস্ত করা এবং তাদেরকে দেওয়া দ-ের বিষয়ে দ্বিমত পোষণের কোনো প্রশ্ন থাকতে পারে না। তবে অবমাননাকারীদের শপথ লঙ্ঘন বিষয়ক অংশের সঙ্গে আমি একমত পোষণ করতে পারছি না’।
এর ব্যাখ্যায় তিনি বলেন, ‘আদালত অবমাননাকারীরা তাদের শপথ ভেঙেছেন কি-না, তা এ মামলার বিচার্য বিষয় ছিল না। মন্ত্রিসভার এই সদস্যদের প্রতি ওই ধরণের কোনো নোটিসও দেওয়া হয়নি। আমার মত হচ্ছে, তাদেরকে উদ্ধৃত করে পত্রিকায় যে বক্তব্য প্রকাশিত হয়েছে, তার মাধ্যমে তারা আদালত অবমাননা করেছেন কি-না, সেটাই আমাদের বিবেচনার বিষয়’।
গত মার্চে দুই মন্ত্রীর বিরুদ্ধে কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করে সুপ্রিম কোর্টের দেয়া আদেশে বলা হয়েছিল, কামরুল ইসলাম এবং আ ক ম মোজাম্মেল হক ৫ মার্চ দেশের প্রধান বিচারপতি ও সুপ্রিম কোর্টের জন্য চরম মর্যাদাহানিকর যে বক্তব্য দিয়েছেন, সে জন্য কেন তাদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার কার্যক্রম হাতে নেওয়া হবে না, তার কারণ দেখাতে হবে। সম্পাদনা : পরাগ মাঝি