অরল্যান্ডোর নাইটক্লাবে হামলা তদন্তে মতিনের ‘সমকামী প্রবণতা’
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মতিন ‘সমকামী লৈঙ্গিক পরিচয়’ নিয়ে কি নিজের মধ্যে কোনো দ্বন্দ্ব ছিল মতিনের, যা তাকে খোদ সমকামীদের ওপর হামলায় উদ্বুদ্ধ করেছে? এ প্রশ্নকে সামনে রেখেই যুক্তরাষ্ট্রের অরল্যান্ডোর নাইটক্লাবে হামলার ঘটনায় তদন্ত করছে এফবিআই। সোমবার রাতে নাগরিক অধিকার আন্দোলনের নেতাদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত এক কনফারেন্সে মার্কিন তদন্ত সংস্থা এফবিআই এমন ইঙ্গিত দেয় বলে নিশ্চিত করেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান।
গার্ডিয়ান জানায়, সোমবার রাতে এফবিআই, বিচার বিভাগ এবং হোমল্যান্ড সিকিউরিটির প্রতিনিধিদের একটি দল ৩৫৮ জন নাগরিক অধিকার আন্দোলনের নেতার সঙ্গে কনফারেন্সটি করেন। নাগরিক অধিকার আন্দোলনের ওই নেতাদের মধ্যে রয়েছেন- সমকামী-উভকামী-রূপান্তরকামী (এলজিবিটি) কমিউনিটি এবং যুক্তরাষ্ট্রের মুসলিম সংগঠনগুলোর নেতারা। শীর্ষস্থানীয় এক মার্কিন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে গার্ডিয়ান জানায়, এফবিআইয়ের ওই কনফারেন্সে অংশ নেওয়া মুসলিম নেতারা অরল্যান্ডোর ঘটনায় ‘দু:খপ্রকাশ’ করেছেন। জানিয়েছেন ‘সমর্থন’ ।
কোনদিকে যাচ্ছে তদন্ত : যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে নাইন-ইলেভেন পরবর্তী সবচেয়ে ভয়াবহ এ হামলায় শুরুতেই জঙ্গি সংশ্লিষ্টতার পাশাপাশি সমকামভীতির ইস্যুটিও সম্ভাবনার তালিকায় রাখা হয়েছিল। কিন্তু নতুন করে মতিনের সমকামে সংশ্লিষ্টতা থাকার সম্ভাবনা জোরালো হয়ে ওঠায় এ ইস্যুকেও তদন্তের আওতায় রাখা হয়েছে। সমকামবিরোধী কোনো সন্ত্রাসী সংগঠনের নামে কোনো সমকামীই এ ধরনের হামলা চালিয়েছে কিনা সেটাই এখন খতিয়ে দেখার পালা। এরইমধ্যে এফবিআইয়ের তদন্তে বেরিয়ে এসেছে যে, ওমর মতিন বেশ কয়েকবার সমকামী নাইটক্লাব পালসে আসা-যাওয়া করেছেন। প্রত্যক্ষদর্শীরাও তেমনটাই দাবি করেছেন। তাদের দাবি, ওমর মতিন সমকামী ছিলেন। এলজিবিটি ডেটিং অ্যাপে মতিনের একটি প্রোফাইলও ছিল।
মতিনের সাবেক স্ত্রী সিতোরা ইউসুফিও ব্রাজিলের এক টেলিভিশন চ্যানেলকে বলেছেন, সাবেক স্বামী সমকামী ছিলেন বলে তিনি জোর সন্দেহ করতেন। আর সেদিকগুলোকেই মাথায় রেখে তদন্ত করছে এফবিআই। একই ধরনের দাবি করেছেন মতিনের এক সহপাঠী। তিনি জানিয়েছেন, মতিন তাকে নিয়েও সমকামী নাইটক্লাবে গিয়েছিলেন। তবে মতিন আত্মস্বীকৃত সমকামী ছিলেন না বলে জানান ওই সহপাঠী। সম্পাদনা : ইমরুল শাহেদ