‘অঘোষিত পরিবহন ধর্মঘট বেআইনি ও অর্থনীতির জন্য ক্ষতিকর’
মাহবুবুল ইসলাম : বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ও বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, পরিবহণ বন্ধ থাকার কারণে অর্থনীতির উপর প্রভাব পরবে এট্ইা স্বাভাবিক। অঘোষিত ধর্মঘট বেআইনি ও অর্থনীতির জন্য ক্ষতিকর। শিক্ষার্থিদের নিরাপদ সরকের দাবিতে আন্দোলন এবং পরিবহন শ্রমিকদের ধর্মঘট নিয়ে আলাপ কালে আমাদের অর্থনীতিকে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, পরিবহন বন্ধ থাকার কারণে অফিসগামীদের অফিসে যাওয়ার পথে ব্যাঘাত ঘটছে। কেউ অফিসে যেতে পারছে না, আবার যারা যাচ্ছে তারা সঠিক সময়ে অফিসে পৌঁছতে পাছে না। যার ফলে কর্মঘন্টা নষ্ট হচ্ছে। এতে যা আউটপুট হওয়ার কথা তা হচ্ছে না। পণ্য উৎপন্য কমে যায়। সময়ের মুল্য অনেক, পরিবহন বন্ধ থাকলে মানুষের কাজের ব্যাঘাত ঘটে কিন্তু সময় তো থেমে থাকে না। যারা শ্রমিক অর্থাৎ যারা প্রতিদিন আয় রোজগার করেন, তাদের আয় বন্ধ হয়ে যায়। কাজ থেমে থাকলে দিন মজুরের আয় থেমে যায়। গাড়ি চলাচল না করলে পণ্যের সরবরাহ থেমে থাকে। ফলে যারা উৎপাদন করছে তাদেরও লোকসান হচ্ছে আবার বাজারে পণ্য না থাকার কারণে দাম বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ফলে সাধারণ ক্রেতা কিংবা ভোক্তাদের হয়রানি হতে হয়। সব মিলিয়ে এর একটি দ্রুত সমাধান দরকার। শ্রমিক এবং মালিকদের সংযত হওয়া উচিত। তাদের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ মাঝেমাঝেই আসে। তারা বেআইনি ভাবে অবৈধ ধর্মঘটের ডাক দেয়। এসব অঘোষিত ধর্মঘট বেআইনি ও অর্থনীতির জন্য ক্ষতিকর। বাস শ্রমিকদের নেতারাই এমনটি করে থাকে। বিশেষ করে মলিক যারা আছে তারা মুষ্টিমেয় এবং তারা ক্ষমতাধর এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক পদ পদবি থাকে। ধর্মঘট করতে হলে নোটিশ দিতে হয়, শ্রম মন্ত্রণালয়ে আগে জানাতে হয়।
ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ আরও বলেন, ধর্মঘট ডাকতে হলে আগে নোটিশ দিতে হয়, শ্রম মন্ত্রণালয়ে জানাতে হয়। নিয়মতান্ত্রিক ভাবে পদক্ষেপ নিলে হয়ত মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের অভিভাবদের অবগত করা যেত। তারা সন্তানদের নিয়ন্ত্রণ করতে যে তোমরা এমনটি কেন করছ। তারপর তারা পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে পারে। কিন্তু শ্রমিকরা চালাকি করে নিজেদের ইচ্ছা মত ধর্মঘট করল এটা একদম বেআইনি। এসব সমস্যার সমাধান করতে হলে বাস মালিক কিংবা শ্রমিকদের আইনের আওতায় আনতে হবে। তা না হলে ছাত্রদের আন্দোলন, ৯ দফা দাবি এসবে কিছুই হবে না।