নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলে হার্ড হিটার ব্যাটসম্যান বলতে তেমন কেউই নেই। আর সেই কারণেই টি টুয়েন্টি ফরম্যাটের ক্রিকেটে প্রায়শই সমস্যায় পড়তে হয় টাইগ্রেসদের। তাই এবার হার্ড হিটার ব্যাটসম্যান গড়ে তোলার লক্ষ্য নিয়ে নারী ক্রিকেটারদের সাথে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন সহকারী কোচ দেবিকা পালশিখর। চলতি বছরের নভেম্বরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে অনুষ্ঠিতব্য টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপকে সামনে রেখে এরই মধ্যে তার অধীনে ক্যাম্প শুরু করেছে জাহানারা, সালমারা।
এই ক্যাম্পে পাওয়ার হিটার নিয়ে কাজ করা হচ্ছে বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন ভারতীয় কোচ পালশিখর। এই ক্যাম্পে ব্যাটসম্যানদের বড় শট খেলার দক্ষতা যাচাই করার পাশাপাশি অন্যান্য বিষয়েও লক্ষ্য রাখা হবে উল্লেখ করে সহকারী কোচ বলেছেন, ‘আমরা এই দলের ব্যাটারদের পাওয়ার হিটিং নিয়ে কাজ করব। প্রথম ছয় ওভারের ব্যবহারটা ভালো করতে চাই আমরা। রানিং বিটুইন দ্য উইকেট আছে, এইসব আসে ফিটনেস থেকে। এই জন্যই এই ক্যাম্প গুরুত্বপূর্ণ’।
বোলিং ও ব্যাটিংয়ের থেকেও ফিটনেস বেশি গুরুত্বপূর্ণ বলে বিশ্বাস করেন পালশিখর। আর সেই কারণেই এই বিষয়টি নিয়ে টাইগ্রেসদের সাথে বেশি কাজ করা হচ্ছে বলে নিশ্চিত করেছেন পালশিখর। তিনি বলেন, ‘আমরা তাদের ব্যাটিং-বোলিং নিয়ে চিন্তিত নই। আমরা তাদের ফিটনেস নিয়েই বেশি ভাবছি, এটা রানিং বিটুইন দ্য উইকেটে কাজে লাগে। আপনি ফিট থাকলে আটোমেটিকালি আপনি আত্মবিশ্বাসি অনুভব করবেন। সিঙ্গেলকে ডাবলে পরিনত করায় আমরা পিছিয়ে। এইসব নিয়েই বেশি কাজ করা হবে’।
অবশ্য নাম উল্লেখ না করলেও পালশিখর জানিয়েছেন বাংলাদেশের এই দলটিতে কয়েকজন ক্রিকেট রয়েছেন যাদের পাওয়ার হিটিংয়ের অর্থাৎ ছয় মারার সামর্থ্য রয়েছে। এক্ষেত্রে আত্মবিশ্বাসেরই অভাব তাদের। এই প্রসঙ্গে সহকারী কোচ বলেন, ‘আপনি যদি শেষ কয়েকটি টুর্নামেন্ট দেখেন, প্রতি ম্যাচেই দেখবেন দুই একটি করে ছয় এসেছে। এখানে দুই তিন জন ব্যাটার আছে যাদের সেই সামর্থ্য আছে। তারা হয়তো আত্মবিশ্বাসের দিক থেকে কিছুটা পিছিয়ে ছিল’। এক্ষেত্রে অবশ্য পরোক্ষভাবে আগের কোচের সমালোচনাও করেছেন এই ভারতীয় কোচ। ২০১৬ সাল থেকে চলতি বছরের মে মাসের দক্ষিণ আফ্রিকা সফর পর্যন্ত বাংলাদেশ নারী দলের দায়িত্বে ছিলেন সাবেক ইংলিশ অলরাউন্ডার ডেভিড চ্যাপেল। ক্রিকফ্রেঞ্জি