২০১৭’তে বাস্তুহারা বিশ্বের পৌনে ৭ কোটি মানুষ
লিহান লিমা: বিশ্বব্যাপী ২০১৭ সালে জোরপূর্বক বাস্তুহারা মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধি ২.৯ মিলিয়ন। বছরের শেষ পর্যন্ত নির্যাতন, সহিংসতা ও দ্বন্দ্বের শিকার হয়ে বিশ্বজুড়ে বাস্তুহারা হয় ৬৮.৫ মিলিয়ন মানুষ। এর ফলে বিশ্বজুড়ে জোরপূর্বক বাস্তুহারা মানুষের সংখ্যা রেকর্ড হারে বৃদ্ধি পায়।
ইউএনএইচসিআরএর প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০০৭ সালে এই সংখ্যা ছিল ৪২.৭ মিলিয়ন। কিন্ত গত ১০ বছরের এই সংখ্যা ৫০ ভাগ বৃদ্ধি পাচ্ছে। বর্তমানে প্রতি ১১০ জনের মধ্যে ১ জনই বাস্তুহারা, অথচ এক দশক আগে এই সংখ্যা ছিল ১৫৭ জনের মধ্যে ১ জন। সিরিয়া সংঘর্ষ এটি কয়েক গুণ বৃদ্ধি করেছে। এছাড়া গত ৫ বছরে, মিয়ানমার, ইয়ামেন, ইরাক, সুদান, দক্ষিণ সুদান, কঙ্গো, ইউক্রেন, দক্ষিণ আফ্রিকা, বুরুন্ডি সংকট ও সংঘর্ষ ব্যাপকহারে বাস্তুহারা সংকট সৃষ্টি করেছে।।
ইউএনএইচসিআর জানায়, গত বছরের ৬৮.৫ মিলিয়ন জোরপূর্বক বাস্তুহারা মানুষের মধ্যে ২৫. ৪ মিলিয়নই শরণার্থী। ইউএনএইচসিআর এর নীতি অনুযায়ী ১৯.৯ মিলিয়ন শরণার্থী এবং ইউএনআরডব্লিউ এ অনুযায়ী ৫.৪ মিলিয়ন ফিলিস্তিনি শরণার্থী। ৪০ মিলিয়ন অভ্যন্তরীণভাবেই বাস্তুহারা হয়েছে। অভিবাসন প্রত্যাশীর সংখ্যা ৩.১ মিলিয়ন।
এর মধ্যে ১৬.২ মিলিয়ন ২০১৭ সালে নতুন করে বাস্তুহারা হয়েছে। শরণার্থীর চাপে লেবাননে ক্রমাগত জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। শরণার্থী শিশুদের বয়স ১ থেকে ৬। লেবাননেরর পরই এক্ষেত্রে আছে জর্ডান এবং তুরস্ক। ২০১৭ সালে প্রতিদিন জোরপূর্বক বাড়ি ছাড়তে বাধ্য হয়েছে ৪৪ হাজার ৪০০ জন।এদিকে নিজভূমিতে ফিরেছে ৫ মিলিয়ন বাস্তুহারা জনগণ। ১ লাখ ২ হাজার ৮০০ শরণার্থীকে নতুন করে পুনবার্সন করা হয়েছে।
২০১৭ সালে চতুর্থ বারের মত তুরস্ক বিশ্বের সবচেয়ে বেশি শরণার্থী গ্রহণ করেছে, এই সংখ্যা ৩.৫ মিলিয়ন। এরপরই আছে পাকিস্তান (১.৪), উগান্ডা (১.৪), লেবানন ( ৯,৯৮,৯০০ ), ইরান ( ৯,৭৯,৪০০), জার্মানি (৯,৭০,৪০০), বাংলাদেশ (৯,৩২,২০০) এবং সুদান (৯,০৬,৬০০)।
অন্যদিকে বিশ্বের দুই তৃতীয়াংশ শরণার্থীই এসেছে ৫টি দেশ থেকে। সিরিয়া থেকে ৬.৩ মিলিয়ন, আফগানিস্তান থেকে ২.৬ মিলিয়ন, সুদান থেকে ২.৪ মিলিয়ন, মিয়ানমার থেকে ১.২ মিলিয়ন এবং সোমালিয়া থেকে এসেছে ৯ লাখ ৮৬ হাজার ৪০০ জন শরণার্থী। এই শরণার্থীদের ৫২ ভাগেরই বয়স ১৮ বছরের নিচে এবং এদের মধ্যে ১ লাখ ৭০ হাজার ৮০০ শিশুই পরিবার থেকে আলাদা। ওয়েব। ওয়েব