অভ্যন্তরীণ বাজারে দাম বেড়ে যাওয়ায় কমেছে মাংস রপ্তানি
মতিনুজ্জামান মিটু: অভ্যন্তরীণ বাজারে গরু ও ছাগলের মাংসের দাম বেড়ে যাওয়ার কমেছে মাংস রপ্তানির পরিমাণ। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (প্রশিক্ষণ) ডা. এ কে এম আতাউর রহমান জানান, বিগত ২০১৬-১৭ অর্থবছরের চেয়ে ২০১৭-১৮ অর্থবছরে গরু ও খাসির মাংস, বুলস্টিক ও হাড়ের গুড়া রপ্তানির পরিমাণ অনেক কমেছে। দেশের বাজারে গরু ও খাসির মাংসের দাম যথাক্রমে কেজি প্রতি ৪৫০ টাকা ও ৭৫০ টাকা হওয়ার পর থেকে রপ্তানিতে ভাটা পড়ে। আগে যারা রপ্তানি করতো তারা এখন আর বিদেশে মাংস পাঠায়না। এসময় হাড়ের গুড়া রপ্তানির পরিমাণও কমেছে। ২০১৬-২০১৭ অর্থবছরে এ দেশ থেকে মালদ্বীপ, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও কুয়েতে দুই লাখ ৩৪ হাজার ৯২৩ কেজি গরু ও খাসির মাংস এবং কুকুরকে খাওয়ানোর জন্য ১৬ হাজার ১০৯ কেজি বুলস্টিক (শুকায়ে শক্ত করা বলদের পেনিস) রপ্তানি করা হয়। এছাড়া এই অর্থবছরে তিন হাজার ১৫৪ মেট্রিক টন হাড়ের গুড়া চীনে রপ্তানি করা হয়েছিল। ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে ১৪ হাজার ১৪৮ কেজি গরু ও খাসির মাংস, এক হাজার ১২৪ কেজি বুলস্টিক এবং ৬৭৩ মেট্রিক টন হাড়ের গুড়া বিদেশে রপ্তানি করা হয়। মাংসের চেয়ে বুলস্টিকের দাম অনেক বেশি। বিদেশে কেজি প্রতি মাংস ৫ ডলার ও বুলস্টিক ১৭ ডলারে রপ্তানি করা হয়। চীনে প্রতি মেট্রিক টন হাড়ের গুড়া ৪৮০ ইউএস ডলার দরে পাঠানো হয়। চীন বোন সিরামিক্স তৈরীর জন্য বাংলাদেশ থেকে হাড়ের গুড়া আমদানি করে। বেঙ্গল মিটস, নাফিজা এন্টারপ্রাইজ ও ম্যাজিস্ট্রিক এন্টারপ্রাইজ বিদেশে এসব মাংস, বুলস্টিক ও হাড়ের গুড়া রপ্তানি করে থাকে। সম্পাদনা: মোহাম্মদ রকিব হোসেন