কুরবানির ঈদে মাংস পাচ্ছে প্রায় ২ লাখ রোহিঙ্গা পরিবার
শ.ম.গফুর,উখিয়া(কক্সবাজার): উখিয়া টেকনাফে আশ্রিত ৩০টি ক্যাম্পে এক লাখ ৯৫ হাজার রোহিঙ্গা পরিবার আসন্ন ঈদুল আযহায় কোরবানির মাংস পাচ্ছে। বিভিন্ন ক্যাম্পে রোহিঙ্গাদের মানবিক সেবায় নিয়োজিত দেশি-বিদেশি দাতা ও এনজিও সংস্থা কোরবানির পশু সরবরাহের বিষয়টি নিশ্চিত করার সত্যতা স্বীকার করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, রোহিঙ্গাদের মাংস সরবরাহ মনিটরিং করার জন্য জেলা প্রশাসকসহ ৫ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
গত বছরের ২৪ আগষ্ট মিয়ানমারের রাখাইনরাজ্যের ২৯ টি সেনা ছাউনিতে সেখানকার বিদ্রোহী গ্রুপ আরসার সদস্যরা একযোগে হামলা চালিয়ে ৯ জন সেনা সদস্যকে হত্যা করার ঘটনায় জাতিগত নিধনযজ্ঞ শুরু করে সেখানকার সেনাবাহীনি বিজিপি ও উগ্রপহ্নি রাখাইন শসস্ত্র জনগোষ্ঠী। রোহিঙ্গাদের নির্বিচারে গণহত্যা, ধর্ষণ, বসতবাড়িতে অগ্নিসংযোগ,শিশুদের অগ্নিকা-ে নিক্ষেপ ও রোহিঙ্গা যুবকদের গণগ্রেফতারসহ নানা নিপীড়নের ফলশ্রুতিতে রোহিঙ্গারা প্রান বাঁচাতে এদেশে পালিয়ে আসার জন্য সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্টে জড়ো হতে থাকে। এসময় সীমান্তরক্ষী বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড বিজিবি এসব রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশ করতে না দেওয়ায় পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা সীমান্তের ওপারে অবর্ণনীয় দুর্ভোগের স্বীকার হয়েছে। এসময় প্রধানমন্ত্রী মানবিকতার আদেশে রোহিঙ্গারা এপারে চলে এসে বিভিন্ন স্থানে আশ্রয় নেয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নিকারুজ্জামান জানান, বুধবার পর্যন্ত কয়েকটি এনজিও সংস্থা প্রায় এক হাজার পশু প্রশাসনের নিকট হস্তান্তর করেছে। তিনি বলেন, প্রায় ১২ হাজার পশু কোরবানির টার্গেট করে এনজিও সংস্থা প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলাপ আলোচনা চুড়ান্ত হয়েছে। দাতা সংস্থা কর্তৃক সরবরাহকৃত গরু তাদের মাধ্যমে জবাই করা হবে। এসব মাংস প্যাকেট জাত করে রোহিঙ্গাদের মাঝে সরবরাহ করা হবে। মাংস সরবরহের ক্ষেত্রে যাতে কোনরকম অনিয়ম না ঘটে সে জন্য জেলা প্রশাসক, কক্সবাজার ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা (ত্রিফল আর আরসি), উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, ক্যাম্প ইনচার্জ, উপজেলা প্রানী সম্পদ কর্মকর্তা ও উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আবুল খায়ের সার্বক্ষণিক মনিটরিং করবে। সম্পাদনা : মুরাদ হাসান