‘বার বার সহজেই ঋণ দেওয়ায় চামড়া ব্যবসায়িরা সুযোগ পেয়ে বসেছে’
মাহবুবুল ইসলাম : বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আবু আহমেদ বলেন, বার বার সহজেই ঋণ দেওয়ায় চামড়া ব্যবসায়িরা সুযোগ পেয়ে বসেছে। যারা ঋণ নিয়ে টাকা ফেরত দিচ্ছে না, তাদেরকে পরবর্তীতে টাকা দেওয়া উচিত না। চামড়া খাতে রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাংকের খেলাপি ঋণ নিয়ে আলাপকালে আমাদের অর্থনীতিকে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ব্যবসায়িরা মনে করেন সরকারি ব্যাংকের টাকা না দিলেও বুঝি চলে। রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাংকের পাশাপাশি প্রাইভেট দু-একটি ব্যাংকও ইতিপুর্বে চামড়া কিংবা পাট খাতে ঋণ দিয়েছে। ব্যাবসায়িরা তাদের ঋণ কিন্তু ঠিকই পরিশোধ করেছে। পরিশোধ করেনি শুধু রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাংকের ঋণ। এজন্য রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাংকের ম্যানেজম্যান্ট শক্ত পজিশনে থাকতে হবে। যারা আগে লোন নিয়েছে এবারও শুধু তারাই পাবে, আমি মনে করি চারটি ব্যাংকের এই কন্ডিশন ঠিক আছে।
অধ্যাপক আবু আহমেদ আরও বলেন, ব্যবসায়িরা বলবে যে, চামড়া ফেটে গেছে, ইন্ডিয়া পাচার হয়ে গেছে। এগুলো সব ভোগাস কথা। চামড়ার দাম যখন কমে যাবে তখন তারা ঠিকই কিনবে। প্রয়োজনে অন্য কোথাও থেকে ফান্ড জোগার করবে। রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাংক গুলো তাদের ব্যালেন্সিড ঠিক রাখতে শক্ত অবস্থানে থাকবে। প্রয়োজনে চামড়া খাতে ঋণ দিলাম না! ব্যাবসায়িরা খোলা মার্কেট থেকে পারলে লোন নিবে! তুমি ব্যাবসা করতে নেমেছ, তোমার টাকা নিয়ে যদি ফেরত না দেয় তাহলে তুমি দ্বিতীয়বার টাকা দিবা? সহজ হিসাব। এছাড়া কোন করণীয় নেই। তুমি লোনের টাকা ফেরত দাও, অন্যথায় ব্যাবসা করো না! ব্যাংকের টাকা লোপাট করে তো চামড়া কেনার জন্য লোন নেওয়া উচিত না।