আমার দেশ • প্রথম পাতা • লিড ২
স্বর্ণনীতি বাস্তবায়িত হলে হুন্ডির মাধ্যমে হাজার কোটি টাকা পাচারের পথ বন্ধ হবে
আবু বকর : স্বর্ণনীতি বাস্তবায়িত হলে হুন্ডির মাধ্যমে হাজার কোটি টাকা পাচারের পথ বন্ধ হবে। বৈধ পথে স্বর্ণ আমদানি হলে এই খাতে কয়েক দফায় রাজস্ব আহোরিত হবে। এই শিল্পের সঙ্গে জড়িত ২০ লক্ষাধিক স্বর্ণশিল্পী ও শ্রমিক কর্মচারীর পেশার অনিশ্চয়তা দূর হবে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এর একাধিক নীতি নির্ধারক ও স্বর্ণ ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে আলাপ করে এ তথ্য জানা গেছে।
এনবিআরের শুল্কনীতির সদস্য মো. ফিরোজ শাহ আলম আমাদের অর্থনীতিকে জানান, প্রধানমন্ত্রীর চূড়ান্ত অনুমোদনের অপেক্ষায় থাকা এই নীতি বাস্তবায়িত হলে হুন্ডির মাধ্যমে টাকা পাচারের একটি উৎস বন্ধ হবে। তিনি বলেন, বৈধ পথে আমদানি ও রপ্তানির দ্বার উন্মুক্ত হলে সোনার বাজারে শৃঙ্খলা বিরাজ করবে। সেই সোনায় তৈরি অলঙ্কার অভ্যন্তরীণ চাহিদা পূরণ করে বিদেশে রপ্তানি হবে। ফলে উভয় ক্ষেত্রে রাজস্ব আহরণ বাড়বে। একই বক্তব্য সমর্থন করে এনবিআরের ভ্যাটনীতির সদস্য রেজাউল হাসান আমাদের অর্থনীতিকে জানান,এই নীতি বাস্তবায়িত হলে অভ্যন্তরীণ বাজারে ভ্যাট আহরণের খাত বাড়বে।
শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. শহিদুল ইসলাম আমাদের অর্থনীতিকে জানান, প্রতিবছর দু’টনের বেশি সোনা চোরাই পথে দেশে আসে। এর একটা অংশ আবার ভারতে পাচার হয়। আর পুরো প্রক্রিয়ায় দেশের অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ।
বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতির সভাপতি গঙ্গাচরণ মালাকার প্রস্তাবিত স্বর্ণনীতিকে স্বাগত জানিয়ে আমাদের অর্থনীতিকে বলেন, এখন কাজের অভাবে স্বর্ণশিল্পীরা পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে চলে যাচ্ছে। স্বর্ণনীতি বাস্তবায়িত হলে এই শিল্পের সঙ্গে জড়িত ২০ লক্ষাধিক স্বর্ণশিল্পী, শ্রমিক কর্মচারী পেশার নিশ্চয়তা পাবে। সরকারের রাজস্ব আহরণ বাড়ার পাশাপশি ব্যবসায়ীরা অহেতুক হয়রানি থেকে রক্ষা পাবে।