দেশে ফিরিয়ে আনা সহজ হবে : অ্যাটর্নি জেনারেল তারেকের যাবজ্জীবন মানে ৩০ বছর জেল
এস এম নূর মোহাম্মদ : বহুল আলোচিত ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে যাবজ্জীবন কারাদ- দিয়েছেন আদালত। গত বুধবার ঢাকার বিশেষ জজ শাহেদ নূর উদ্দিন এ রায় ঘোষণা করেন। তবে তারেক রহমানের যাবজ্জীন মানে প্রচলিত আইন অনুযায়ী ৩০ বছর, এমনটাই জানিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। এছাড়া এ রায়ের কারণে তাকে দেশে ফিরিয়ে আনা সহজ হবে বলেও মনে করেন তিনি।
এর আগে সাভারের ব্যবসায়ী জামান হত্যা মামলায় দুই আসামির যাবজ্জীবন কারাদ- মানে আমৃত্যু কারাবাস জানিয়ে আপিল বিভাগ রায় দিয়ে ছিলেন। তখন প্রধান বিচারপতি ছিলেন সুরেন্দ্র কুমার সিনহা। তবে ওই রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশিত হলে তার বিরুদ্ধে গত বছরের ৬ নভেম্বর রিভিউ আবেদন করা হয়। যা এখনো নিষ্পত্তি হয়নি।
এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, প্রচলিত ফৌজদারি আইন ও কারাবিধি অনুযায়ী যাবজ্জীবন কারাদ- অর্থ ৩০ বছর সাজা। এরপর আসামি রেয়াত পেলে ওই সাজার সময় আরও কমে যাবে। ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৫(ক) ধারা অনুযায়ী সাজার মেয়াদ থেকে বিচারিক সময়ের হাজতবাসের সময়ও বাদ যাবে। যাতে সাড়ে ২২ বছর কারাদ- হয়।
এদিকে তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনা প্রসঙ্গে গতকাল অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, মৃত্যুদ- হলে বিদেশে পলিটিক্যাল অ্যাসাইলাম (রাজনৈতিক আশ্রয়) দেওয়া হয়। তবে তারেক রহমানের তো যাবজ্জীবন সাজা হয়েছে। আন্তর্জাতিক আইন অপরাধীকে আশ্রয় দেওয়া সমর্থন করে না। তাই তাকে ফিরিয়ে আনতে কষ্ট হবে না।
তিনি আরও বলেন, এ মামলায় তারেক রহমানকে যদি নাটের গুরু বলা হয়ে থাকে, তবে সেটা রায় পর্যালোচনা করে দেখবো। রায় পড়ে যদি দেখি তারও মৃত্যুদ- হওয়া উচিত ছিল, তবে তার দ- বৃদ্ধিতে রাষ্ট্রপক্ষ থেকে আপিল করবো। কিন্তু সবটাই নির্ভর করবে রায়টি পড়ার পর।
মাহবুবে আলম বলেন, পাকিস্তানের জুলফিকার আলী ভুট্টো নিজে খুন করেননি। কিন্তু খুন করিয়েছেন, সেজন্যও তার ফাঁসি হয়েছে। তাই আমারও মনে হয় তারেকের অন্যদের মতো ফাঁসি হওয়া উচিত ছিল।