‘ঈশ্বর জিজ্ঞেস করবেন না আমার জন্য কয়টা খুন করেছ’
ইয়াছিন রানা : ‘মৃত্যুর পর ঈশ্বর কাউকেই জিজ্ঞেস করবে না, তুমি আমার জন্য কয়টা খুন করেছ। তিনি শুধু জিজ্ঞেস করবেন, কতজন সৃষ্টিকে তুমি ভালবেসেছ। মাদার টেরিজা ঈশ্বরের সৃষ্টিকে ভালবেসেছিলেন। তাই তাকে আমরা স্মরণ করছি। ভালবেসেছি। শ্রদ্ধা করছি। একই সঙ্গে আমরা তার সেইন্ট হওয়াকে উদযাপন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’ কথাগুলো বলেছেন মাদার টেরিজা চ্যারিটেবল সোসাইটির সিস্টার।
আগামী ১০ সেপ্টেম্বর বিকালে সারা দেশের গীর্জাগুলোয় বিশেষ প্রার্থনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। তিনি জানান, আমরা প্রতিদিন কত হত্যা দেখি। এ সময় মাদারের খুব প্রয়োজন ছিল। মানুষকে ভালবেসেই সিস্টার থেকে মাদার, পরে সেইন্ট বা ঈশ্বরের দূত হয়েছেন টেরিজা। ঈশ্বরের কাছে ভালো হতে হলে, তার কাছ থেকে পুরস্কার পেতে হলে তার সৃষ্টিকে ভালবাসতে হবে। তার সৃষ্টিকে ঘৃণা করে কেউ স্বর্গে যেতে পারবে না। মাদার টেরিজা ঈশ্বরের সৃষ্টির সেবা করেছেন বলেই তিনি দুনিয়াতেই পুরস্কৃত হয়েছেন এবং এখন মারা যাওয়ার পরও সম্মানিত হচ্ছেন। তাই সেইন্ট টেরিজা রয়েছেন আমাদের আকাশজুড়ে। মাদার টেরিজাকে সেইন্ট ঘোষণা করায় বাংলাদেশে ক্যাথলিক ও প্রটেস্ট্যান্ট উভয় সম্প্রদায়ের খ্রিস্টানরাই খুশি।
বাংলাদেশের খ্রিস্টান অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক উইলিয়াম প্রলয় সমাদ্দার আমাদের অর্থনীতিকে বলেছেন, আমি একজন প্রটেস্ট্যান্ট খ্রিস্টান, মাদার টেরিজা ছিলেন ক্যাথলিক। কিন্তু আমরা সার্বজনীনভাবেই তাকে সম্মান এবং শ্রদ্ধা করি। তাকে সেইন্ট ঘোষণা করা হয়েছে; তাতে আমরা খুশি।
মাদার টেরিজা সেইন্ট হওয়ায় কোনো অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে কিনা, এ বিষয়ে তিনি বলেন, অবশ্যই আমরা কিছু করার চেষ্টা করব।
আলবেনিয়ার মেয়ে অ্যাগনেস গোনজা ১৯২৮ সালে নান হন। চলে আসেন ভারতে। নাম হয় সিস্টার টেরিজা। ১৯৩১ সালে কলকাতায় এলেন। শিখলেন বাংলা। ১৯৩৭ সালে মাদার হন। গত ৪ সেপ্টেম্বর দুটি অলৌকিক ঘটনার প্রমাণসাপেক্ষে তিনি সেইন্ট হন। সেইন্ট টেরিজা প্রয়াত হন ১৯৯৭ সালে। সম্পাদনা: মোরশেদ