তাঁতিদের প্রযুক্তিজ্ঞান ও পেশাগত দক্ষতা বাড়াতে ২৯১ কোটি টাকার প্রকল্প
মোহাম্মদ রুবেল : তাঁত শিল্পের সঙ্গে যুক্ত দেশের বিভিন্ন জেলায় তাঁতিদের প্রযুক্তি জ্ঞান ও পেশাগত দক্ষতা বাড়াতে ২৯১ কোটি টাকার প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৭৪ কোটি টাকা ব্যয়ে পীরগঞ্জ ও রংপুরে ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ প্রতিষ্ঠা করা হবে। এবং ১১৭ কোটি টাকা ব্যয়ে পাঁচটি বেসিক সেন্টারে পাঁচটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ও একটি ফ্যাশন ডিজাইন ইনস্টিটিউট, একটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, এবং তাঁতপণ্য বিপণন সহজ করতে ঢাকার কারওয়ান বাজার ও কুষ্টিয়ার কুমারখালির বাজারে স্থায়ী মার্কেটে প্রমোশন কেন্দ্র স্থাপন নির্মাণ করা হবে জানিয়েছে বাংলাদেশ তাঁতবোড। তাঁতবোর্ড সূত্রে জানা যায়, উপযুক্ত প্রযুক্তিগত জ্ঞান ও পেশাগত দক্ষতা অর্জনের মাধ্যমে প্রতিযোগিতামূলক বাজারে টিকে থাকার লক্ষ্যে দেশের তাঁতিদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দেওয়া প্রয়োজন। তাঁতিরা প্রশিক্ষিত হলে গুণগত মানসম্পন্ন তাঁত বস্ত্রের উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে এবং প্রতিযোগিতামূলক বাজারে উৎপাদিত বস্ত্র টেকসই হবে। এসব প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের মাধ্যমে প্রতিবছর দেড় হাজার জনকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে সম্ভব হবে। ফ্যাশন ডিজাইন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট থেকে প্রতিবছর ৫০ জনকে ডিপ্লোমা ডিগ্রি, ২৪০ জনকে সার্টিফিকেট কোর্স এবং ১৫০ জনকে শর্ট কোর্স প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এতে বিপুলসংখ্যাক গ্রামীণ নারী ও পুরুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে এবং দরিদ্র তাঁতির সংখ্যা কমে আসবে।
তাঁতবোর্ডের সদস্য গাজী মো. রেজাউল করিম (পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন) আমাদের অর্থনীতিকে বলেন, তাঁতপণ্য বিপণন সহজ করতে ঢাকার কারওয়ান বাজার ও কুষ্টিয়ার কুমার খালির বাজারে স্থায়ী মার্কেটে প্রমোশন কেন্দ্র স্থাপন নির্মাণ প্রস্তাবিত প্রকল্প দুটি সেন্টার স্থাপিত হলে দারিদ্র প্রান্তিক তাঁতিদের ন্যায্যমূল্যে তাঁত বস্ত্র বিপণনের সুযোগ সৃষ্টি হবে।
তিনি আরও বলেন, সামাজকি মূল্যবোধের পরিবর্তন, বিদ্যুৎচালিত মেশিন চালানোর প্রশিক্ষণ এবং অর্থের অভাবে অনেক তাঁতিরা পেশার পরিবর্তন করেছে। ফলে দিনদিন বস্ত্রের চাহিদার চেয়ে উৎপাদন কমে যাচ্ছে। ফলে তাঁতিদের এ পেশায় ফিরিয়ে আনতে তাঁতশিল্প বোর্ড তাঁতিদের জন্য ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচিকে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। সম্পাদনা : হুমায়ুন কবির খোকন/রেজাউল আহসান