৫ বছরের মধ্যে ডিমের দাম সর্বোচ্চ, সবজির দরও চড়া
মাসুদ মিয়া : বাজারে বেড়েই চলেছে ডিমের দাম। একই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সবজির দাম। একমাস আগে ৯৫ টাকা ডজন বিক্রি হওয়া ডিমের দাম এখন ১০৫ থেকে ১১০ টাকা। কোনো কোনো স্থানে আবার ১২০ টাকা। যা গত ৫ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, ডিমের চাহিদা খুব বেড়েছে। চাহিদা অনুযায়ী খামারিরা তা সরবরাহ করতে পারছে না। তাই ডিমের দাম বেড়েছে। ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এক মাসে ডিমের দাম বেড়েছে ৩ দফা। এর মধ্যে শেষ দুই সপ্তাহ দাম বৃদ্ধির হার ছিল সব চেয়ে বেশি।
খুচরা পর্যায়ে মুদির দোকানে একটি ডিম বিক্রি হচ্ছে ১০ টাকায়। আর হালি হিসেবে বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। এসব ব্যবসায়ীরা এক ডজন ডিম বিক্রি করছেন ১১৫-১২০ টাকায়।
মিরপুরের ব্যবসায়ী সিরাজুল ইসলাম বলেন, গত একমাস ধরেই ডিমের দাম বাড়তি। কিছুদিন আগেও এক ডজন ডিম ৯০ টাকায় বিক্রি করেছি। আর এখন এক ডজন ডিম ১১০ টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে।
এদিকে সবজির দামও পাল্লা দিয়ে বেড়েছে। সপ্তাহ ব্যবধানে অধিকাংশ সবজির দাম বেড়েছে ৫ টাকা থেকে ১০ টাকা। আর শীতের সবজি শিমের দাম ১০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৩০ টাকায়। তবে অপরিবর্তিত রয়েছে পেঁয়াজ ও চালের দাম। দুই মাস ধরে বাজারে সবচেয়ে দামি সবজির তালিকায় রয়েছে শিম। বাজার ও মান ভেদে টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৮০-১২০ টাকা কেজিতে। একশ’ টাকার উপরে বিক্রি হওয়া এ তিন সবজির পাশাপাশি চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে শীতের অন্যতম আগাম সবজি ফুলকপি। এখন এ সবজিটি ৪০ থেকে ৫০ টাকার নিচে পাওয়া যাচ্ছে না। বাজারে বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকা কেজি। উচ্ছের দাম বেড়ে দাড়িয়েছে ৫০-৬০ টাকা কেজি, করলার দাম কিছুটা কম। এ সবজিটি বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকায়। বরবটি ৫০-৬০ টাকা কেজি। এ ছাড়া চিচিংগা, পটল, ঢেঁড়স, ঝিঙা, ধুনদল, কাকরল বিক্রি হচ্ছে ৩০-৪০ টাকা কেজি। আগের সপ্তাহেও এ সবজিগুলোর দাম এমনই ছিল।
এদিকে দাম অপরিবর্তিত রয়েছে পেঁয়াজ, ও ব্রয়লার মুরগির। বাজার ও মানভেদে দেশি পেঁয়াজ আগের সপ্তাহের মতো ৪০-৪৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। আর ব্রয়লার মুরগির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। কেজি বিক্রি হচ্ছে ১১৫-১২০ টাকায়।
চালের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, আউশ চাল বিক্রি হচ্ছে ৩৬-৩৭ টাকা কেজি দরে। মোটা চাল স্বর্ণা ও গুটি ৩৬ থেকে ৩৮ টাকা, মাঝারি চাল বিআর ২৮ ও লতা ৪২ থেকে ৪৩ টাকা, সরু চাল মিনিকেট মানভেদে ৫৩ থেকে ৫৫ টাকা ও নাজিরশাইল ৫৬ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হয়। সম্পাদনা : মাহবুব আলম ও মোহাম্মদ রকিব হোসেন