লাগামহীন দেশি মাছের বাজার
ফাতেমা আহমেদ : খাল-বিল, নদী-নালায় যেসব মাছ পাওয়া যায় সেগুলোই দেশি মাছ। দেশি মাছের স্বাদও বেশি। তবে দেশি মাছের দাম এখন লাগামছাড়া, সাধ থাকলেও কেনার সাধ্য নেই সাধারণ মানুষের।
বাজারে দেশি শিং ও মাগুর মাছ প্রতি কেজি ৬৫০-৭০০ টাকার নিচে বিক্রি হয় না, যেখানে চাষের শিং ও মাগুর মাছ বিক্রি হয় ৪০০-৫০০ টাকায়। এই শীতে অনেকেরই নতুন আলু-বেগুন দিয়ে দেশি শিং মাছের ঝোল খাওয়ার ইচ্ছা থাকলেও দামের কারণে তা আর হয়ে ওঠে না।
ভোক্তাদের মধ্যে একটি ধারণা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে যে দেশি মাছের স্বাদ বেশি। তুলনামূলকভাবে চাষের মাছের স্বাদ কিছুটা কম। তবে দেশে বাণিজ্যিকভাবে প্রচুর মাছ চাষ হয় বলে বাজারে এখন চাষের মাছেরই আধিক্য। ভোক্তারাও বাধ্য হয়ে এতেই মানিয়ে নিয়েছে। কারণ ঢাকার এলাকাভিত্তিক বাজারগুলোর মধ্যে অনেকগুলোতে দেশি মাছ পাওয়াই যায় না। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি চাষের টেংরা যেখানে প্রকারভেদে ৩৫০-৪৫০ টাকায় বিক্রি হয় সেখানে দেশি টেংরা মাছ ৫০০-৫৫০ টাকার কমে কেনা যায় না। রামপুরা বাজারে কয়েকজন দোকানি পাবদা মাছ বিক্রি করছিলেন ৪০০-৪৫০ টাকা কেজি দরে। কিন্তু বিক্রেতা প্রতি কেজি ৫৫০ টাকা করে পাবদার দাম চাইছিলেন।
শুক্রাবাদ কাঁচাবাজারে প্রতি কেজি কই মাছ বিক্রি হচ্ছিলো ১৬০-১৮০ টাকার মধ্যে। এদের মধ্যে এক বিক্রেতা দেশি কই বলে প্রতি কেজি ২৫০-৩০০ টাকায় বিক্রি করছিলেন। বিক্রেতারা জানান, বাজারে বিভিন্ন সাইজের রুই মাছ বিক্রি হয়। ঢাকায় বেশির ভাগ ছোট ও মাঝারি মানের রুই মাছই এখন চাষের বলে জানায় বিক্রেতারা। এর বাইরে কিছু কিছু ছোট দেশি মাছ বিক্রি করতে দেখা যায়, যেগুলো ৪৫০-৫০০ টাকা কেজির কমে পাওয়া যায় না। দেশি কাজুলি মাছ প্রতি কেজি ৬০০-৬৫০ টাকার নিচে পাওয়াই মুশকিল। সুপারশপগুলোতে এই মাছের দাম ৭০০ টাকারও বেশি। তবে কিছু অভিযোগও রয়েছে। অনেক ক্রেতা জানায়, বিক্রেতারা দেশি দেশি বললেও আসলে চাষের মাছই বিক্রি করে। সম্পাদনা : মোহাম্মদ রকিব