নির্বাচন স্বাধীনতা যুদ্ধ না যে মুখোমুখি লড়বো এদেশে চাইলেই কিছু হয় না, ঘটনাক্রমে ঘটে, এমন কথা বলে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন ঘোষণা লতিফ সিদ্দিকীর
সাইদ রিপন : প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদার সঙ্গে দেখা করে সাংবাদিকদের লতিফ সিদ্দিকী বললেন, আমি বলে আসলাম, নির্বাচন পরিচালনায় আপনি ব্যর্থ। এভাবে নির্বাচন হতে পারে না। তাই আমি মাঠ ছেড়ে দাঁড়ালাম। আমি নিরিহ মানুষকে আহত, নিহত হবার সুযোগ কেনো করে দেবো? যারা আহত নিহত হবে। তাদের দায় আমাকে নিতে হবে। আমি সেই দায় নেবো না। আমি এতো বড় বীর পুরুষ হতে চাই না। এটা স্বাধীনতা যুদ্ধ না যে, মুখোমুখি লড়াই করবো। যার সাথে লড়াই করবো, সে আমারই কর্মী কিংবা কর্মীর সন্তান। আমি কেনো যাবো এই ধরনের হানাহানিতে? যদি নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরি করতে না পারে।
লতিফ সিদ্দিকী বলেন, আমি আর নির্বাচন করছি না। কারণ মাঠ নির্বাচন করার মতো সমতল নয়। মাঠ এমনই সমতল যে পুলিশের বুটের নিচে পড়তে হয়, সন্ত্রাসীদের লাঠির আঘাত খেতে হয়। আমার অফিস ভেঙে দিয়েছে। আমার নিরিহ লোকদেরকে প্রতিনিয়ত গ্রেপ্তার করছে। যারা সমর্থক তাদেরকে পুলিশ প্রতিনিয়ত টেলিফোন করে ভয় দেখাচ্ছে। এর পরে ইলেকশন করা যায় নাকি? আমি জীবনে অনেক নির্বাচন করেছি। ১৯৭০ সাল থেকে শুরু করেছি আজকে ২০১৮ সাল, এই রকম নির্বাচন আমার এলাকায় আমি জীবনেও দেখিনি। আমি আর শাহাজাহান সিরাজ ছিলাম দুই প্রতিপক্ষ। কিন্তু আমাদের মধ্যে এই ধরনের কোনো ঘটনা ঘটে নাই।
লতিফ সিদ্দিকী আরও বলেন, আমি তাকে বলে দিয়ে আসলাম, আপনি স্বীকার করুন আর না করুন, আপনি ব্যর্থ। কমিশনের পক্ষ থেকে কি বলা হলো জানতে চাইলে তিনি বলেন, কিছুই বলা হয়নি। আমিতো তার কাছে শুনতে চাইনি। আমি বলেছি, এক মিনিট আপনার সাথে দেখা করে চিঠি দিয়ে চলে যাবো। ওসির বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আছে। এখন কি ওসির প্রত্যাহার চান জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখন আর কিছুই চাই না। এখন আর সময় আছে নাকি? আমি নিজেকেই মাঠ থেকে সরিয়ে নিয়েছি। কার কাছে কি চাইবো? এদেশে চাইলেই কিছু হয় না। ঘটনাক্রমে ঘটে।