ইমরুল শাহেদ: সবারই প্রত্যাশা ছিল ১১ সেপ্টেম্বর ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে। কিন্তু সেটা হলো না। কারণ সেদিন চাঁদ দেখা যায়নি। তাই ঈদ উদযাপিত হলো ১২ সেপ্টেম্বর। আলজাজিরা জানিয়েছে, ২ সেপ্টেম্বর শুক্রবার সৌদি আরবের সুপ্রিম কোর্ট ঘোষণা করে যে ঈদ উদযাপিত হবে ১২ সেপ্টেম্বর। সত্যিকার অর্থে ঈদের দিনক্ষণ নির্ধারণ হয়ে থাকে চাঁদ দেখা যাওয়ার উপর নির্ভর করে। যদি ১ সেপ্টেম্বর চাঁদ দেখা যেত তাহলে ১১ সেপ্টেম্বর ঈদ উদযাপিত হতো। যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, ইসলামিক সোসাইটি অব নর্থ আমেরিকা এবং ফিক কাউন্সিল অব নর্থ আমেরিকা ঈদ উদযাপনে সৌদি আরব ঘোষিত দিনটিকেই অনুসরণ করেছে। কিন্তু ইউরোপের মুসলিম সম্প্রদায় ১২ সেপ্টেম্বর ঈদ উদযাপন করেছে। তারা অনুসরণ করেছে ইউরোপিয়ান কাউন্সিল অব ফতুয়া অ্যান্ড রিসার্চ ও লন্ডন সেন্ট্রাল মসজিদকে। ইসলামিক পঞ্জিকা অনুসারে ঈদুল আজহা উদযাপিত হয়ে থাকে জিলহজের (ধু আল-হিজ্জা) ১০ম দিনে। মক্কায় হজ পালনের তৃতীয় দিনে। পাকিস্তান ও বাংলাদেশ ঈদ উদযাপন করেছে তাদের নিজস্ব পঞ্জিকা অনুসারে। পাকিস্তান সেন্ট্রাল রুয়েট-ই-হিল্লাল কমিটি বলেছে, তাদের পঞ্জিকায় জিলহজ মাসের প্রথম দিন হলো ৪ সেপ্টেম্বর। কিন্তু সৌদি আরবের উম আল-কুরা পঞ্জিকা অনুসারে সেদিন হলো ৩ সেপ্টেম্বর। পক্ষান্তরে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও ভারত ঈদুল আজহা উদযাপন করেছে ১৩ সেপ্টেম্বর। সূত্র : আল-জাজিরা